নয়াদিল্লি: পুণের আইটি কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ডেলিভারি বয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার দুদিন পর গ্রেফতার করা হল তাকে। গত ২ জুলাই পুণের অভিজাত আবাসনের ধর্ষণের শিকার হন তরুণী। অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত।
গ্রেফতার অভিযুক্ত ডেলিভারি বয়: ওটিপি বলার জন্য ঘরে গিয়েছিলেন ফোন আনতে। সেই সময় ঘরে ঢুকে পুণের তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে। পুণে শহরের অভিজাত আবাসনে এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। অবশেষে ঘটনার দুদিন পর অভিযুক্ত ডেলিভারি বয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক মহিলার পূর্ব পরিচিত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। গত ২ জুলাই পুণের কোন্ধওয়ায় একটি আবাসনে এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ধর্ষণ করার পর ওই মহিলার সঙ্গে সেলফি তোলে। যেখানে তার মুখ সহ শরীরের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত বলে যায়, ওই মহিলা অভিযোগ জানালে বা মুখ খুললে ওই ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছে বাড়িতে ঢোকার আগে ওই যুবক জানায় সে ক্যুরিয়র ডেলিভারি করতে এসেছে। ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত নথিও দেখায়। ডেপুটি কমিশনার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধে ৭.৩০ নাগাদ ব্যাঙ্কের খাম নিয়ে তরুণীর ফ্ল্যাটে পৌঁছয় অভিযুক্ত। OTP-র জন্য ফোন আনতে ভিতরে গিয়েছিলেন তরুণী। সেই সময় ওই যুবক ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়, তরুণীকে ধর্ষণ করে। ডেপুটি কমিশনার রাজকুমার শিন্ডে জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় ধর্ষণ, নিগ্রহ, অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের মামলা দায়ে হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। যখন জ্ঞান ফেরে তখন অভিযুক্ত সেখানে ছিল না।
এর আগে গত মাসে দিল্লিতে ৯ বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের অভিযোগ ওঠে। উত্তর-পূর্ব দিল্লি থানার অন্তর্গত দয়ালপুরের নেহেরু বিহার এলাকায় প্রতিবেশীর বন্ধ বাড়িতে একটি ব্যাগের মধ্যে শিশুর দেহ ছিল বলে দাবি করে তাঁর পরিবারের। যৌন নির্যাতন করে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। উত্তর পূর্ব দিল্লির ডিসিপি জানান, শশিশুর উপর যৌন নির্যাতন করে খুনের অভিযোগ মেলে। পুলিশ গিয়ে জানতে পারে শিশুটিকে জগ প্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গেছে তার বাবা। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শিশুর দেহে ও মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে CFSL-এর টিম। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তদন্তকারীদের একাধিক টিম গঠন করা হয়। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়।