Burdwan Toto : বর্ধমান শহরে টোটো চালাতে লুকিং গ্লাস বাধ্যতামূলক, নির্দেশ প্রশাসনের
বর্ধমান শহরে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চলাচল করে। অভিযোগ, বেশিরভাগ সময়ই টোটোগুলি বেপরোয়াভাবে ছুটে বেড়ায়। তার উপর লুকিং গ্লাস না থাকায় পিছনের দিকে চালকের দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : বর্ধমান শহরে টোটো চলাচল করলে লাগাতে হবে লুকিং গ্লাস। রবিবারের মধ্যে লুকিং গ্লাস লাগাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বর্ধমান শহরের জিটি রোডে দিনের ব্যস্ততম সময়ে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এনিয়ে বর্ধমান শহরে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হচ্ছে। এর আগে বর্ধমান পৌরসভার পক্ষ থেকে এব্যাপারে মাইকে প্রচার করা হয়েছে।
বর্ধমান শহরে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চলাচল করে। অভিযোগ, বেশিরভাগ সময়ই টোটোগুলি বেপরোয়াভাবে ছুটে বেড়ায়। ফলে, টোটোয় বসে থাকা যাত্রীরা তো বটেই পথচলতি মানুষও দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তার উপর লুকিং গ্লাস না থাকায় পিছনের দিকে চালকের দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। পিছনের দিকে না দেখেই টোটো ঘোরাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন চালকরা। সেক্ষেত্রে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে ও যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে টোটোয় লুকিং গ্লাস লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। লুকিং গ্লাস লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এজন্য রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে টোটো চালকদের।
করোনার মোকাবিলায় লাগু হওয়া বিধি-নিষেধ অনেকটা শিথিল হতেই বর্ধমান শহরে ফের টোটোর দাপট বাড়তে শুরু করেছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শহরের লাইফ লাইন জিটি রোডে উঠে পড়ছে টোটো। তাতে একাধারে যানজট ও অন্যদিকে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি এব্যাপারে বৈঠকে বসে জেলা পুলিশ ও পৌরসভা। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যানজট ও দুর্ঘটনা এড়াতে জিটি রোডে সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত টোটো চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। সেইসঙ্গে টোটোয় লুকিং গ্লাস লাগানো বাধ্যতামূলক।
এদিকে লুকিং গ্লাস লাগানোর সিদ্ধান্তকে টোটো চালকরা স্বাগত জানালেও, জিটি রোডে টোটো ওঠা নিষিদ্ধ ঘোষণা সম্পর্কে টোটো চালকদের দাবি, বিধি-নিষেধ এখনও পুরোপুরি শিথিল না হওয়ায় যাত্রী অনেক কম। তার উপর শহরের মূল রাস্তা জিটি রোড ব্যবহার করে যাত্রীদের বেশিরভাগই যাতায়াত করতে চান। সেই জিটি রোড ব্যবহার করা না গেলে উপার্জন আরও কমে যাবে।