Rahul Gandhi: আদানি-প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিলেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে দ্বিতীয় দফার আলোচনা, লোকসভায় বক্তৃতা রাহুলের
No Confidence Motion: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বুধবার অংশ নিলেন তিনি।
নয়াদিল্লি: মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও, সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরই সংসদে প্রত্যাবর্তন ঘটল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বুধবার অংশ নিলেন তিনি (No Confidence Motion)। আর গোড়াতেই আদানি-প্রশ্নে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তিনি। টিপ্পনিসূচক মন্তব্যেই এদিন ভাষণ শুরু করলেন তিনি। বললেন, "শেষ বার আদানি প্রসঙ্গ তুলে ধরায় অনেকে আহত হয়েছিলেন। আমি সত্যতাই তুলে ধরেছিলাম। তাতে অনেকে আহত হয়েছিলেন। আজ আদানির কথা বলব না। ভয় পাবেন না।" আগের বারের মতো শক্তিশালী গোলা ছুড়বেন না বলে জানালেন। (Rahul Gandhi)
এদিন রাহুল জানান, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় বেরিয়ে, দক্ষিণের সমুদ্র থেকে কাশ্মীরের বরফে ঢাকা পাহাড় পর্যন্ত গিয়েছেন তিনি। কেন বেরিয়েছেন, তা নিজেই গোড়াতে বুঝতে পারছিলেন না নিজেও। কিন্তু বুঝতে চাইছিলেন প্রাণপণে। গত ১০ বছর ধরে যে গালিগালাজ শুনতে হয়েছিল, তার মর্মার্থ অনুসন্ধান করতে চাইছিলেন। এত পথ চলতে গিয়ে শারীরিক কষ্টও সহ্য করতে হয় তাঁকে। তাতে শুধু ভয়, অহঙ্কার, সব ধুলোয় মিশে গিয়েছে তাঁর। বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সফল হন। যখনই দুর্বল হয়ে পড়েন, তখনই কেউ না কেউ এসে শক্তি জুগিয়েছেন, সে বয়োঃজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হোন বা একরত্তি বালিকা, দেশের কৃষক হোক বা শ্রমিক, দীর্ঘ যাত্রাপথে এমন হাজার হাজার মানুষ শক্তি জুগিয়েছেন তাঁকে।
LIVE: Address to the Parliament | No Confidence Motion https://t.co/1FBUqftwJ9
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 9, 2023
'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় এত মানুষ দেখে একটা সময় তিনি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেন বলে জানান রাহুল। তিনি জানান, নিজের কথা বলার চেয়ে, সকলের কথা শুনতে শুরু করেন তিনি। অনাস্থা প্রস্তাবে কেন 'ভারত জোড় যাত্রা'র প্রসঙ্গ টানলেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেন রাহুল। রাহুল জানান, ভারতের অর্থ শুধু দেশ নয়, এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে কোটি কোটি মানুষের কণ্ঠ, আর্তি। ভারতকে ধরে রাখতে হলে, দেশের মানুষের কথা শোনাও জরুরি। এর পরই মণিপুর হিংসা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন রাহুল। জানিয়ে দেন, এই দেশে মণিপুর আর বেঁচে নেই। মণিপুরের কথা শোনার মতো সময় নেই সরকারের কাছে। মণিপুরে এই ভারতকে খুন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।