ভবিষ্যৎ কী? জল্পনার মধ্যেই বিজেপি সহকারি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক, ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল বলেছেন, প্রয়োজনে ‘দাঁতে দাঁত চেপে’ লড়বেন!
রাহুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে নানা মহলে নানা গুঞ্জন চলছে...
দীপক ঘোষ, কলকাতা: ৪০ বছর দলকে সেবা করার এই পুরস্কার! তৃণমূলের নেতা আসবেন, তাই আমাকে সরতে হল। তবে দলের এই পুরস্কার নিয়ে এখনই কিছু বলব না! ১০-১২ দিন পর জানাব আমার ভবিষ্যত্ কর্মপন্থা কী হবে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদ থেকে থেকে রাজ্যের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নেমে আসা রাহুল সিন্হা নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এভাবেই। তবে তিনি যে সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন, তা শেষ হতে এখনও সপ্তাহ খানেক বাকি।
রাহুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে নানা মহলে নানা গুঞ্জন চলছে। এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়ে মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহকারি পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল।
বিজেপি সূত্রে খবর, দলের রাজ্য সদর দফতরের এই বৈঠকে শিবপ্রকাশ রাহুলকে আগামী বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেন। রাহুল পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি কোন অধিকারে সেই বৈঠকে যাবেন?
উত্তরে শিবপ্রকাশ জানান, যেহেতু আগের পর্যালোচনা বৈঠকে রাহুল ছিলেন, আর বৃহস্পতিবারের বৈঠক আগের বৈঠকেরই ফলোআপ, তাই সেখানে রাহুলের যেতে কোনও অসুবিধা নেই। তিনি যেন থাকেন।
কিন্তু রাহুল বৈঠকে কি যাবেন? মুখে কুলুপ আটলেও রাহুলের ঘনিষ্ঠ মহলের ইঙ্গিত, তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। সেই মহল বলছে, সংগঠনের কেন্দ্রীয় পদ থেকে সরানোর পর বিভিন্ন দলের নেতারা রাহুলকে ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোথাও দলবদলের ইঙ্গিত দেননি তিনি।
উল্টে বিজেপি সূত্রে খবর, নিয়মিত আরএসএস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন রাহুল। তাহলে কি দর কষাকষি করে বিজেপিতেই জায়গা খুঁজে নিতে চান তিনি?
যদিও এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিজেপির দু’বারের রাজ্য সভাপতি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল বলেছেন, দাঁতে দাঁত চেপে এর আগে অনেক লড়াই করেছি। দরকারে আবারও তাই করতে হবে। কিন্তু অতীতের সেইসব লড়াই ছিল প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে। আর এবার লড়াই দলের অন্দরে---পার্থক্য শুধু এখানেই!