Man's Murder Body in Drum: বাড়ি থেকে উৎকট-পচা গন্ধ, 'নীল ড্রাম' খুলতেই বেরল পচা দেহ, দৃশ্য দেখে আতঙ্কে পড়শিরা
Rajasthan News: কিন্তু বাড়তে থাকে গন্ধ। এমনই সেই গন্ধের তীব্রতা যে পাড়াপ্রতিবেশিরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। তখনই ফোন যায় পুলিশের কাছে

নয়া দিল্লি: বাড়িতে ভাড়াটিয়া অনেক দিনের। বাড়িওয়ালাকে বলেই বাইরে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই পাড়াপড়শিরা বিপট গন্ধ পেতে শুরু করেন। বাড়িতে বাড়িওয়ালা থাকতেন না। মাঝে একবার বাড়ি ফিরেছিলেন বাড়িওয়ালা মহিলা। সেই সময় ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ নাকে আসে তাঁর। ভেবেছিলেন কুকুর-বিড়াল হয়তো মারা গিয়েছে আশেপাশে। সেইদিনই ওই বাড়ি থেকে চলে এসেছিলেন তিনি। ফোন করেছিলেন পুলিশকেও।
কিন্তু বাড়তে থাকে গন্ধ। এমনই সেই গন্ধের তীব্রতা যে পাড়াপ্রতিবেশিরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। তখনই ফোন যায় পুলিশের কাছে। রাজস্থানের আলওয়ারে ভাড়া বাড়ির প্রথম তলায় একটি ড্রাম থেকে এক ব্যক্তির পচা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের মিরাটে একটি নীল ড্রামে একজন ব্যক্তিকে খুন করে ঢুকিয়ে রাখার স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি একটি ইটভাটায় কাজ করতেন এবং তার নাম হংসরাজ। ঘটনার পর থেকে তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান নিখোঁজ রয়েছে। নীল ড্রামের উপরে একটি পাথর রাখা ছিল, যার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের ধারণা সম্ভবত দুর্গন্ধ দূর করার জন্য।
যে ছবি পুলিশ প্রকাশ্যে এনেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সাদা পোশাক পরা একজন পুলিশ সদস্য, মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকা, পাথরটি মেঝেতে ফেলে ঢাকনা তুলে নিচ্ছেন। তারপর তিনি একটি বিছানার চাদর বের করে ভেতরে উঁকি দিচ্ছেন। ডেপুটি পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, "আদর্শ কলোনির একটি বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন বাড়ির ছাদে একটি নীল ড্রামে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত ব্যক্তির নাম হংসরাজ ওরফে সুরজ"।
পুলিশ অফিসার বলেন, 'ভুক্তভোগী উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন এবং কিষাণগড় বাস এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। তিনি দেড় মাস আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি তার তিন সন্তান এবং স্ত্রীর সঙ্গে এখানে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে হংসরাজের স্ত্রী এবং সন্তানরা বাড়ি থেকে নিখোঁজ। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দলও এখানে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, লোকটির মৃতদেহ কতক্ষণ ড্রামের ভেতরে ছিল বা তাকে হত্যার কারণ কী তা জানা যায়নি। পুলিশ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে।






















