Ram Mandir Consecration Ceremony: রামমন্দির উদ্বোধনে যোগ দেওয়ায় হুমকি ফোন, 'কারও পছন্দ না হলে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে' বললেন ইমাম
Ram Mandir Consecration Ceremony: ২২ জানুয়ারির পর থেকেই নাগাড়ে হুমকি ফোন পেয়ে চলেছেন ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি। 'কারও পছন্দ না হলে সে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে' পাল্টা বার্তা ।
নয়া দিল্লি : রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর থেকেই তিনি অতিষ্ঠ একের পর এক হুমকি ফোনে। কেন তিনি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন? সেটাই এক গোষ্ঠীর মানুষের উষ্মার কারণ। গত রবিবার থেকেই ফতোয়ার মুখে ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি।
নাগাড়ে হুমকি ফোন
অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁর উপর এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। ২২ জানুয়ারির পর থেকেই নাগাড়ে হুমকি ফোন পেয়ে চলেছেন তিনি।
'কারও পছন্দ না হলে সে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে'
ইমাম জানিয়েছেন, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি একথা স্পষ্টভাবে বলে দেন, তিনি এর মাধ্যমে ভালবাসা এবং সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিতে চেয়েছেন, তা কারও পছন্দ না হলে সে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে।
তিনি বলে দেন, কোনওমতেই তিনি ক্ষমা চাইবেন না কারও কাছে। কারণ তিনি কোনও ভুল করেছেন বলে মনে করছেন না।
তিনি জানান, 'একজন প্রধান ইমাম হিসাবে, আমি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। আমি দু'দিন চিন্তা করেছিলাম এবং তারপরে সম্প্রীতি ও দেশের জন্য অযোধ্যায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
'আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্ম মানবতা'
আমার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়েছে , হুমকির ফোন আসছে” ইলিয়াসি এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান। ইমামের মত, এটি নতুন ভারতের মুখ। আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্ম মানবতা। আমাদের কাছে দেশ সবার আগে।
২২ জানুয়ারি, ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাজ ভালবাসা এবং সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। তিনি রামমন্দির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেটাই করতে চেয়েছেন মাত্র।
আরও পড়ুন: রাম লালার অদেখা ছবি! সাজানোর আগে কেমন ছিল দেখতে? দেখালেন খোদ শিল্পী
গত ২২ জানুয়ারি উৎসবের আবহে নবনির্মিত রাম মন্দিরে, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় নরেন্দ্র মোদির হাতে! এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ' সেও এক সময় ছিল, যখন কিছু লোক বলতেন যে, রাম মন্দির তৈরি হলে আগুন লাগবে! এমন লোক, ভারতের সামাজিক ভাবনার পবিত্রতাকে জানতে পারেননি! রামলালার এই মন্দিরের নির্মাণ, ভারতীয় সমাজে শান্তি, ধৈর্য, পারস্পরিক সদ্ভাব এবং সমন্বয়ের প্রতীক। আমি দেখতে পাচ্ছি, এই নির্মাণ, কোনও আগুন জ্বালাচ্ছে না! বরং একটা শক্তির সঞ্চার করতে সাহায্য করছে!'