Ayodhya Ram Mandir: উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়, বদলে গেল রামলালার দর্শনের সময়
Ramlala Darshan: ভিড় সামাল দিতে এবার রামলালার দর্শনের (Ram Lalla) সময় বাড়াল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা: প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরের দিন থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে গিয়েছিল মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা। উপচে পড়তে শুরু করে ভিড়। দর্শনার্থীদের চাপে অযোধ্যার সব রাস্তাই প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। প্রবল ভিড়ের চাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কারণে ভিড় সামাল দিতে এবার রামলালার দর্শনের (Ram Lalla) সময় বাড়াল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। যাতে সকল দর্শনার্থী সুস্থভাবে রামলালার দর্শন করতে পারেন, সেই জন্যেই এই সিদ্ধান্ত।
নতুন সময়
রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের (Ram Mandir) তরফ থেকে জানান হয়েছে, এবার থেকে সন্ধে ৭টা নয়, বরং রামলালার দর্শন পাওয়া যাবে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত। অন্যদিকে সকালে ৭টা থেকে ১১.৩০ টা পর্যন্ত রামলালার দর্শন পাওয়া যাবে। ফলে বদলে গিয়েছে কেবল রাতের দর্শনের সময়। ভিড়ের চাপ সামাল দিতে, দর্শনার্থীদের সুস্থতা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে ৩ ঘণ্টা সময় বর্ধিত করেছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ।
কী জানাল অযোধ্যা প্রশাসন ?
সূত্রের খবর, প্রায় ৫ লক্ষ দর্শনার্থী ইতিমধ্যেই অযোধ্যার মন্দিরের (Ram Mandir) কাছে এসে উপস্থিত হয়েছেন। ক্যাম্প করে রাত্রিবাস করছেন সেখানেই। মন্দিরে উপচে পড়ছে অঢেল দর্শনার্থীর ভিড়। আর তাই অযোধ্যার জেলা প্রশাসনের তরফে দর্শনার্থীদের উদ্দেশে আবেদন করা হয়েছে তারা যেন ১০-১৫ দিন পরে অযোধ্যায় আসেন এবং রামলালার দর্শন করেন। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে ৮ হাজার পুলিশ দর্শনার্থীদের সামাল দিতে নিয়োজিত।
ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ল অ্যান্ড অর্ডার) প্রশান্ত কুমার এবং মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) সঞ্জয় প্রসাদও এই সময় অযোধ্যায় থাকছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
বন্ধ রামলালার দর্শন
২৩ জানুয়ারি রাতে প্রবল ভিড়ের চাপে পর্যুদস্ত হয়ে সাধু-সন্ত থেকে সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আর তাই পুলিশি নিয়ন্ত্রণে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় অযোধ্যার রাস্তায়। রাম মন্দিরে আর কাউকে যেতে নিষেধ করা হয়। কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয় রামলালার (Ram Lalla) দর্শন। রাত তিনটে থেকেই মন্দিরের সামনে দর্শনার্থীদের প্রবল ভিড় চোখে পড়ে। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই এই মন্দিরে ঢুকতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে গতকাল ভিড়ের চাপে ভেঙে গিয়েছিল ব্যারিকেড। ভিড় সামলাতে হিমসিম খেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। আধা সেনা বাহিনীর সৌজন্যে নিয়ন্ত্রণে আসে ভিড়। এখনও গর্ভগৃহে চলছে কড়া নজরদারি।