দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সারাই হয়নি বেহাল রাস্তা, প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে ভবানীচক-পাহাড়পুরের বাসিন্দারা
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে গোটা রাস্তা খানাখন্দভরা ও জলাশয়ের রূপ নিয়েছে। তবু প্রশাসনিক কোনও তৎপরতাই নেই। ভয়াবহ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে রাস্তা।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেহাল দশা রাস্তার। যাতায়াতে কার্যত নাভীশ্বাস স্থানীয়দের। ওপরমহলে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। অবশেষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামাবাসীরা। এগরা-২ ও কাঁথি-৩ ব্লকের সীমান্তজুড়ে ভবানীচক (জিনন্দপুর) থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত ১২ কিমি রাস্তা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত ১০ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে গোটা রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়ে জলাশয়ের রূপ নিয়েছে। তবু প্রশাসনিক কোনও তৎপরতাই নেই। ভয়াবহ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে রাস্তা। আর তার জেরেই এবার এই অবস্থান বিক্ষোভেক পথে হাঁটলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার রাস্তা সারাইয়ের দাবিতেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বাঁশ দিয়ে গোটা রাস্তা ঘিরে চলতে থাকে অবস্থান।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পটাশপুর-২, এগরা-২, কাঁথি-৩ সহ সন্নিহিত ব্লকে বাসিন্দারের কাঁথি ও এগরা যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। বর্ষায় এর অবস্থা ভয়াবহ আকার নিয়েছেে। নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অটোরিক্সা, মেশিন রিক্সা, টোটো থেকে শুরু করে ট্রেকার, বাস, লরিসহ সমস্ত গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেই একাধিক সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, খারাপ এই রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সবমিলিয়ে মানুষের জেরবার অবস্থা। ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নাভিশ্বাস উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের আশ্বাসের উপর মানুষের ভরসা প্রায় উঠে গিয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁদের।
তাই আজ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে ডাকে সকাল থেকে ভবানীচক-পাহাড়পুর রাস্তা অবরোধ ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী চলে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগরা থানা ও মারিশদা থানার পুলিশ বাহিনী। প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন স্থানীয় বাসিন্দাদের আলোচনা হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত ওঠে বিক্ষোভ। কিন্তু শীঘ্রই এই রাস্তার কাজ শুরু না হলে তাঁরা ফের আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।