Jacqueline Gets Interim Bail: আর্থিক প্রতারণা মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের
Extortion Case:অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন বলি-তারকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। ২০০ কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় এদিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হয়েছিলেন জ্যাকলিন।
মুম্বই: অন্তর্বর্তী জামিন (interim bail) পেলেন বলি-তারকা (bollywood) জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ( Jacqueline Fernandez)। ২০০ কোটি টাকা প্রতারণার (extortion)মামলায় এদিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টে (patiala house court) হাজির হয়েছিলেন জ্যাকলিন। তাঁর তরফে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে কোর্ট। এই মামলাতেই অন্যতম অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর (sukesh chandrasekhar)।
আজ যা ঘটল...
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, অ্যাডিশনাল সেশনস জাজ শৈলেন্দর মালিক এদিন জ্যাকলিনের জামিনের আর্জি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতামত জানতে চান। তার পরই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। পরবর্তী শুনানি ২২ অক্টোবর। ওই দিন বলি-তারকার জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। ওই দিনে মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাইয়ের কাজও হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, গত ১৭ অগাস্ট এই মামলায় দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছিল ইডি। তাতেই নাম ছিল জ্যাকলিনের।
এখনও পর্যন্ত যেখানে তদন্ত...
এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে অবশ্য় আরও এক বলি-তারকা, নোরা ফতেহির বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। তার আগেই আবার জ্যাকলিনের ৭ কোটি টাকারও বেশি স্থায়ী আমানত অ্যাটাত করেন তদন্তকারীরা। দুই অভিনেত্রী যেগুলিকে 'উপহার' বলে দাবি করেছেন, ইডি-র বক্তব্য সেগুলি আসলে অপরাধের 'প্রমাণ'। একই মামলায় জ্যাকলিনের স্টাইলিস্ট লেপাক্ষি এলাওয়াডিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বলি-তারকার স্টাইলিস্ট তখন চন্দ্রশেখর ও জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন। সঙ্গে জানান, তারকার জন্য উপহার কিনতে চন্দ্রশেখর তাঁকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। জ্যাকলিন কোন ব্র্যান্ডের পোশাক পছন্দ করেন সেটা জানতে এলাওয়াডির সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতারণায় অভিযুক্ত চন্দ্রশেখর, দাবি তদন্তকারীদের একাংশের। সেই বাবদ দেওয়া ৩ কোটি টাকার পুরোটাই 'উপহার' কিনতে খরচ করেন এলাওয়াডি, জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে চন্দ্রশেখর গ্রেফতার হতেই তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিলেন বলি-তারকা, সে কথাও সম্ভবত পুলিশকে জানান তাঁর স্টাইলিস্ট। যদিও পুলিশের তরফে অন্য কথা জানানো হয়েছিল। শোনা যায়, চন্দ্রশেখরের 'অপরাধমূলক' কাজকর্মের কথা জানার পরও তাঁর সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রাখতেন জ্য়াকলিন। নোরা ফতেহি অবশ্য সে পথে হাঁটেননি। কিছুটা সন্দেহ তৈরি হতেই সমস্ত যোগাযোগ কেটে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সম্ভবত এই কারণেই খুব সহজে স্বস্তি পাবেন না জ্যাকলিন।
আরও পড়ুন:অস্থায়ী কর্মীদের দাবি মেনে মাসে ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি, বড় ঘোষণা পরিবহণমন্ত্রীর