Mukul Roy : মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে কান্দির দুই বিজেপি নেতা-নেত্রী, দলবদলের ইঙ্গিত !
মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা গেল কান্দি পুরসভার দুই বিদায়ী কাউন্সিলর এবং বিজেপি নেতা-কে। দেবজ্যোতি রায় ও শান্ত্বনা রায়ের দলবদলের ইঙ্গিত।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত সাউ ও রাজীব চৌধুরী; কলকাতা : মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা গেল কান্দি পুরসভার দুই বিদায়ী কাউন্সিলর এবং বিজেপি নেতা-কে। দেবজ্যোতি রায় ও শান্ত্বনা রায়ের দলবদলের ইঙ্গিত। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায় বলেন, ২০-২২ জন বিধায়কও যোগ দেবেন। সবাই মমতার সঙ্গে আসতে চাইছেন।
এক সপ্তাহে দল ছেড়েছেন ৩ বিজেপি বিধায়ক। সম্প্রতি তৃণমূলে ফেরেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। পাঁচ মাসের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে, মার্চ মাসে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তন্ময় ঘোষ। যোগদানের পরের দিনই, তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে জিতেও যান তিনি।
এর পর তৃণমূলে ফেরেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। এছাড়া শনিবার তৃণমূলে ফেরেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। তাঁর হাতেও দলীয় পতাকা তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের" জন্য সৌমেনবাবুকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আর সোমবার মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা গেল কান্দি পুরসভার দুই বিদায়ী কাউন্সিলর এবং বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি রায় ও শান্ত্বনা রায়কে। ২০১৫ সালে মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার নির্দল কাউন্সিলর হন দেবজ্যোতি রায় ও শান্ত্বনা রায়। ২০১৮ সালে, তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে সস্ত্রীক যোগ দেন CPI-তে। কন্দির উপনির্বাচনে প্রার্থী হন দেবজ্যোতি রায়। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে, মুকুল রায়ের হাত ধরে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে।
একের পর এক বিজেপি বিধায়ক যখন তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তখন এই দুই বিজেপি নেতার কথাতেও দলবদলের ইঙ্গিত একেবারে স্পষ্ট। দেবজ্যোতি রায় বলেন, যোগদানের বিষয় নিয়ে আজকে শুধু কথা হয়েছে এমনটা নয়, তবে দাদা বলেছেন। যদি দাদা মনে করেন যোগ দেব। আমরা দল করি, মানুষের জন্যে কাজ করি। দল যদি আমাদের নেন তাহলে দলের কথায় চলব।
আর মুকুল রায় তো এব্যাপারে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। এনিয়ে তিনি বলেন, দু’জনে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসবেন। ক’দিনের মধ্যেই চলে আসবেন।
যদিও, এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। সব মিলিয়ে, দল বদল ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতিতে তরজার পারদ এখন সপ্তমে।