Pakistani Beggars in Saudi Arabia: 'তীর্থযাত্রী সেজে ভিড় করছেন পাকিস্তানি ভিখারিরা, বন্ধ না হলে...', ইসলামাবাদকে কড়া চিঠি সৌদি আরবের
Saudi Arabia Warns Pakistan: মঙ্গলবার পাক সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
![Pakistani Beggars in Saudi Arabia: 'তীর্থযাত্রী সেজে ভিড় করছেন পাকিস্তানি ভিখারিরা, বন্ধ না হলে...', ইসলামাবাদকে কড়া চিঠি সৌদি আরবের Saudi Arabia warns Pakistan over beggars entering the country under Umrah visas Pakistani Beggars in Saudi Arabia: 'তীর্থযাত্রী সেজে ভিড় করছেন পাকিস্তানি ভিখারিরা, বন্ধ না হলে...', ইসলামাবাদকে কড়া চিঠি সৌদি আরবের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/09/25/1b6d67a27da82d0ae9d9f31c918296d51727244762459338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: তীর্থযাত্রার নামে দেশ ভরে যাচ্ছে ভিখারিতে, অভিযোগ আরবের। সেই নিয়ে এবার পাকিস্তানকে সতর্ক করল সৌদি আরব। তীর্ঘযাত্রী সেজে পাকিস্তানি ভিখারিরা তাদের দেশে ভিড় করছে বলে দাবি সৌদির। অবিলম্বে এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হল পাকিস্তানকে। নইলে তারা কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছে সৌদি। (Pakistani Beggars in Saudi Arabia)
মঙ্গলবার পাক সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সৌদির তরফে কড়া সতর্কবার্তা এসে পৌঁছেছে। পাকিস্তান পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে, আগামী দিনে পাকিস্তানি নাগরিকরা সৌদিতে উমরাহ্ বা হজ করতে যেতে সমস্যায় পড়বেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। (Saudi Arabia Warns Pakistan)
সৌদির হজ মন্ত্রকের তরফে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রককে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উমরাহ্ ভিসায় ভর করে ভিখারি পাঠানো বন্ধ করতে হবে। এই মুহূর্তে পাকিস্তান সরকার বিশেষ উমরাহ্ আইন আনার কথাও ভাবছে। এর ফলে যে সমস্ত পর্যটন সংস্থা নাগরিকদের উমরাহ্ করতে পাঠায়, তাদের সরাসরি আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে সৌদি সরকারের তরফে ফতোয়া জারি করে জানানো হয়, অনুমোদন ছাড়া হজে আসা যাবে না তাঁদের দেশে। অন্যথায় ১০০০০ রিয়াল জরিমানাও করা হবে বলে জানানো হয়, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে করাচিতে সৌদিগামী বিমান থেকে ১৬ জনকে ভিখারি চিহ্নিত করে নামিয়ে দেওয়া হয়। তীর্থযাত্রী সেজে আসলে তাঁরা সৌদিতে ভিক্ষা করতে যাচ্ছিলেন বলে জানা যায় সেই সময়। গত বছর একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টও সামনে আসে এ নিয়ে। তাতে বলা হয়, বিদেশে যত ভিখারি গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। শুধু তাই নয়, মক্কার মসিজদ চত্বরে যত পকেটমার ধরা পড়েন, তাঁদের অধিকাংশই পাকিস্তানি নাগরিক বলে জানা যায়।
সৌদিতে পাকিস্তানি ভিখারিদের ভিড় করার বিষয়টি গতবছর মেনেও নেন প্রবাসী পাকিস্তানি বিভাগের সচিব জিশান খানজাদা। তিনি জানান, তীর্থযাত্রী সেজে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ভিড় করছেন পাকিস্তানি ভিখারিরা। সৌদি যাচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা উমরাহ্ ভিসা ব্যবহার করছেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে নামছেন ভিক্ষাবৃত্তিতে। এ নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে বলে মেনে নেয় পাক সরকার।
পাকিস্তানে সৌদির রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সৈয়দ আহমেদ আল-মালকির সঙ্গে এ নিয়ে একদফা বৈঠকও হয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী মহসিন নকভির। পাকিস্তান থেকে ভিখারিদের সৌদি পাঠানো মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সিকে সেই মর্মে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টায়নি বলে অভিযোগ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)