(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Savitri Thakur Viral Video: মার্কার হাতে বেগ পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী,লিখতে পারলেন না'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' স্লোগান, ভিডিও ভাইরাল
Savitri Thakur News: নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য দিতে গিয়ে সাবিত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ।
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। অথচ হিন্দিও লিখতে পারছেন না ঠিক করে? লাগাতার এই প্রশ্নেই বিদ্ধ হচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর। হিন্দিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম লিখতে গিয়ে কার্যতই হিমশিম খেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকি শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের নামটিও সঠিক লিখতে পারেননি। দেশের মন্ত্রীর শিক্ষা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। (Savitri Thakur Viral Video)
নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় দফার সরকারে কেন্দ্রে নারী এবং শিশু কল্যাণ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সাবিত্রী। মধ্যপ্রদেশের ধার থেকে বিজেপি-র টিকিটে জয়ী হন তিনি। মহিলা হিসেবে মোদির মন্ত্রিসভায় তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়ে উৎসাহ ছিল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে মন্ত্রী হিসেবে সাবিত্রীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। (Beti Bachao Beti Padhao)
গত ১৮ জুন 'স্কুল চলো অভিযানে'র আওতায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাবিত্রী। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনেই বোর্ডে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' স্লোগানটি লিখতে উদ্যত হন তিনি। কিন্তু স্লোগান লিখতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয় তাঁকে।হিন্দিতে স্লোগানটি ঠিক করে লিখতেই পারেননি যেমন, বানানও ভুল করেন তিনি।
ये कैसा नेतृत्व ...?? क्या प्रधानमंत्री @narendramodi जी को अपनी सरकार में सिर्फ #Rubber_Stamp मंत्री ही चाहिए?
— Umang Singhar (@UmangSinghar) June 19, 2024
जनप्रतिनिधि कैसा होना चाहिए इसका कोई मापदंड तो तय नहीं है, पर कम से कम उसे अक्षरज्ञान तो होना ही चाहिए!#धार की #सांसद और केंद्रीय मंत्रिमंडल में महिला एवं बाल विकास… pic.twitter.com/n3TIx0RYs3
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' স্লোগানের পরিবর্তে সাবিত্রী বোর্ডে লিখেছেন, 'বেটি পড়াও বাঁচাও'। তাতেও বাঁচাও বানানটি ভুল লেখেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় লাগেনি, যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবিত্রী।
নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য দিতে গিয়ে সাবিত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ। কিন্তু ভিডিওটি সামনে আসতেই তাঁর সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নেটিজেনদের কেউ লেখেন, "কেন দেশের এই অবস্থা, এই ভিডিও দেখলেই বোঝা যায়।" কেউ আবার লেখেন, "এই হল অচ্ছে দিন।" যোগ্যতার নিরিখে নয়, কে কত কাছের, সেই নিরিখে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। একের পর এক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের কথাও তোলেন কেউ কেউ। এভাবেই যোগ্য পড়ুয়ারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন বলে দাবি করেন তাঁরা।
কংগ্রেসের তরফেও এ নিয়ে কটাক্ষ উড়ে আসে। দলের নেতা কেকে মিশ্রর কথা, "গণতন্ত্রের জন্য এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে সাংবিধানিক পদ দখল করে বসে রয়েছেন যাঁরা, বড় বড় মন্ত্রকের দায়িত্ব যাঁদের হাতে, নিজের মাতৃভাষাটাও জানেন না তাঁরা। এঁরা মন্ত্রক চালানোর যোগ্য হলেন কী করে?" মধ্যপ্রদেশ হিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা উপজাতি নেতা উমং সিংহারও সাবিত্রীকে কটাক্ষ করেন। তাঁর প্রশ্ন, "এ কেমন নেতৃত্ব? জনপ্রতিনিধিদের যোগ্যতার কোনও মাপকাঠি থাকবে না?" বিজেপি-র তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।