Shrikant Pangarkar: গৌরী লঙ্কেশ মামলায় গ্রেফতার, জামিন পেয়েই রাজনীতিতে, মহারাষ্ট্র নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন শ্রীকান্ত
Gauri Lankesh: ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত শিবসেনার কাউন্সিলর ছিলেন শ্রীকান্ত।
নয়াদিল্লি: সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুনে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। সেই শ্রীকান্ত পঙ্গরকর এবার রাজনীতিতে অবতীর্ণ হলেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নেতৃত্বাধীন শিবসেনায় যোগ দিলেন তিনি। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক আগেই রাজনীতিতে যোগ দিলেন শ্রীকান্ত। তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। (Shrikant Pangarkar)
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত শিবসেনার কাউন্সিলর ছিলেন শ্রীকান্ত। জালনা পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে গৌরী হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। কিন্তু এ বছর ৪ সেপ্টেম্বরে কর্নাটক হাইকোর্ট জামিন দেয় তাঁকে। ২০১১ সালেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শ্রীকান্ত। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন তদানীন্তন অবিভক্ত শিবসেনা তাঁকে টিকিট দিতে অস্বীকার করে। (Gauri Lankesh)
এর পর দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু জনজাগৃতি সমিতিতে যোগদান করেন শ্রীকান্ত। দু'দিন আগে আবার একনাথ নেতৃত্বাধীন শিবসেনায় যোগদান করেছেন তিনি। জালনা বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। প্রার্থী হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শ্রীকান্ত। অজিত পওয়ার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং বিজেপি-র সঙ্গ আসন সমঝোতার পরই সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানিয়েছে একনাথের শিবসেনা।
২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নিজের বেঙ্গালুরুতে বাড়ির বাইরে খুন হন গৌরী। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন গৌরী। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হলে জানা যায়, কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সনাতন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁকে। কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) এমনই রিপোর্ট দিয়েছিল।
সেই সময় ফরেন্সিক রিপোর্ট, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, ডিএনএ রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মোট ১৮ জন অভিযুক্তের নাম উঠে আসে, যার মধ্যে আট জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। চার্জশিটে তদন্তকারীরা জানান, পুণের 'সনাতন সংস্থা'র অধীনস্থ হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির প্রাক্তন সদস্য অমল কালেকে গৌরী হত্যার মূল অভিযুক্ত। 'শ্রী রাম সেনা'র পরশুরাম বাঘমারেকে তিনি খুনের কাজে নিয়োগ করেছিলেন।
সরকারি আইনজীবী এস বালান সেই সময় জানান, গৌরীকে খুনের ঘটনা নিছক কোনও ঘটনা নয়, সেটি একটি সাংগঠনিক অপরাধ। ভিন্ন আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বলে, সেই নিয়ে লেখালেখি করতেন বলেই চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন গৌরী। বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী গৌরীকে খুন করতে যে পিস্তল ব্যহহার করা হয়েছিল, ২০১৫ সালে সাহিত্যিক এমএম কালবুর্গিকে হত্যা করতেও সেই দেশীয় পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা যায়।