SSC: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি, অনুসন্ধানে আরও সময় দিল হাইকোর্ট
SSC Recruitment: ‘এখনই সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে দিতে হবে না রিপোর্ট’, এদিন নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান কমিটিকে এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি, অনুসন্ধানে আরও সময় দিল হাইকোর্ট। অনুসন্ধানের জন্য কমিটিকে আরও ৪ মাস সময় দিল হাইকোর্ট। ‘এখনই সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে দিতে হবে না রিপোর্ট’, এদিন নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান কমিটিকে এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। অনুসন্ধান কমিটির উদ্দেশ্যে সিঙ্গল বেঞ্চের কড়া পর্যবেক্ষণ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য। কাল হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে বলে দেখা গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High court) পর্যবেক্ষণ, নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যে বেতন এখন অবধি পেয়েছেন, তা উদ্ধার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা স্কুল পর্যবেক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওযা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর কে বাগের কমিটিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসএসসি গ্রুপ-ডি (কর্মী নিয়োগে ‘দুর্নীতি’-র অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে সময় চেয়েছিল কমিটি। অনুসন্ধান শেষ করতে আরও সময় চেয়েছিল আদালত নিযুক্ত কমিটি। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলেছিল হাইকোর্ট । যদিও নির্ধারিত সময়ের থেকে আরও কিছুটা সময় চেয়েছিল কমিটি। গত ডিসেম্বরে গ্রুপ ডি (Group D) নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি হরিশ টন্ডন, রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চ এই নির্দেশ খারিজ করে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করে ডিভিশন বেঞ্চ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নজরদারিতে তৈরি হয় এই বিশেষ অনুসন্ধানকারীদল। এসএসসি-র (SSC) পক্ষে অনুসন্ধানকারী দলে ছিলেন আশুতোষ ঘোষ সহ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education) সহ-সচিব(প্রশাসন) পারমিতা রায়। দলে হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল এই বিশেষ দলের। দলের সমস্ত ব্যয়ভার বহনের দায়ভার ছিল রাজ্যের ওপরে।