MHA on Health Workers : স্বাস্থ্যকর্মীদের যারা হেনস্থা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।
নয়া দিল্লি : অতিমারি পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অথচ তাঁদেরই এখনও হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে মাঝেমধ্যেই। পড়তে হচ্ছে হিংসার মুখে। এই পরিস্থিতিতে কেউ স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। এই মর্মে তিনি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চতলগুলিকে চিঠি দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলেছেন, কড়া নজর রাখুন। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মহামারী রোগ আইন কার্যকর করুন।
চিঠিতে স্বরাষ্ট্র সচিব লিখেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক। হেনস্থাকারীদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করতে হবে এবং এই মামলাগুলি ফাস্ট ট্র্যাকে তুলতে হবে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মহামারী রোগ(সংশোধনী) আইন, ২০২০-তেও বিষয়টি নিতে পারেন।
এর পাশাপাশি আপত্তিকর কোনও বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে কি না সেই বিষয়েও নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। শতাব্দীর অন্যতম স্বাস্থ্য সংকটের সময় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা হাসপাতালে পোস্টারের বিষয়েও জোর দিতে বলা হয়েছে সরকারকে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজগুলি করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তার মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। গতকাল এরই প্রতিবাদ জানান ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। আইএমএ-র সদস্যদের দাবি, অবিলম্বে চিকিৎসকদের উপর হামলা বন্ধ করতে হবে। এর পাশাপাশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকদের উপর হিংসার ঘটনা দেখা গিয়েছে। বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে ও কর্ণাটকে হেনস্থার শিকার হয়েছেন চিকিৎসকরা। অথচ, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে প্রায় ৭৩০ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএমএ।