এক্সপ্লোর
Advertisement
চার জেলায় বাজ ও গাছ পড়ে মৃত ১১, কলকাতায় বিঘ্নিত বিমান, বাস, ট্রেন চলাচল
কলকাতা: তীব্র গরমের পর ফের স্বস্তি। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ওপর দিয়ে বয়ে গেল তীব্র ঝড়। জেলায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি। এক ধাক্কায় পারদ নামল অনেকটাই। কিন্তু স্বস্তির মধ্যেও রয়ে গেল অস্বস্তি। শহর ও জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
শনিবার সকাল থেকেও ছিল চড়া রোদ। বেলা বাড়তেই ঘেমে নেমে একশা শহরবাসী। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো হয়ে আসে আকাশ। শুরু হয় তীব্র ঝড়। পরে বৃষ্টি নামে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন কলকাতার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়। তীব্র ঝড়ে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, বেলেঘাটা মেইন রোড, ডোভার লেন, সিআইটি রোড এবং ক্যাথিড্রাল রোডে গাছ ভেঙে পড়ে। যার জেরে বিঘ্নিত হয় যান চলাচল। ঠাকুরপুকুরে ছাদের পাঁচিল ভেঙে মৃত হয় এক যুবকের। লেকটাউনে গাছের ডাল ভেঙে আহত হন ২ জন। নারকেলডাঙায় ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল। আহত ৫। ঝোড়ো হাওয়ার জেরে বিঘ্নিত হয় বিমান চলাচল। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব শাখায় রেল চলাচল বন্ধ না হলেও বহু শাখায় ট্রেনের গতি ছিল শ্লথ। ফলে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা।
কলকাতার পাশাপাশি, এদিন প্রবল বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূম, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার দাপট ছিল জেলাতেও। বাজ পড়ে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া ও সালানপুরে ৩ জনের মৃত্যু হয়। পূর্ব বর্ধমানের গলসি, আউশগ্রাম, পূর্বস্থলি ও মঙ্গলকোটেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। হুগলির পাণ্ডুয়ায় মারা যান ২ জন। পুরুলিয়া গাছ পড়ে মারা যান এক পথচারী।
এদিন বৃষ্টি হলেও আবহবিদরা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল থেকে আবার চড়া হবে রোদ। ঊর্ধ্বমুখী হবে পারদ। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিকেলের পরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement