Cyclone Yaas in Bengal: ইয়াস-ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের
আগামীকাল পূর্ব মেদিনীপুর যাবে কেন্দ্রীয় দল
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইয়াস-বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে পাথরপ্রতিমায় গেল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
গতকাল রাজ্যে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল। যুগ্মসচিব ছাড়াও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বিভিন্ন আধিকারিকরাও। আজ প্রথম ওই দল দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন করে। আগামীকাল পূর্ব মেদিনীপুরে যাবে কেন্দ্রীয় দল।
দুটি দলে বিভক্ত হয়ে কাজ শুরু করছে কেন্দ্রীয় দল। আজ সকালে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে চড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রওনা দেয় একটি দল। পাথরপ্রতিমা থেকে গোসাবায় পৌঁছে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
আরেকটি দল কলকাতা থেকে সড়কপথে গেছে বাসন্তীর গদখালিতে। সেখান থেকে নৌকায় চড়ে গোসাবার ইয়াস-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
আগামীকাল পূর্ব মেদিনীপুর যাবে কেন্দ্রীয় দল। একটি দল যাবে কপ্টারে। আরেকটি দল সড়কপথে দিঘায় যাবে। মন্দারমণি-সহ সমুদ্র তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।x
ইয়াসের তাণ্ডব, আর সঙ্গে ভরা কটাল--- জোড়া এই ফলায় এখনও কার্যত বিপর্যস্ত নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমার বিস্তীর্ণ এলাকা।
কোথাও বাঁধ ভেঙে, আবার কোথাও বাঁধ উপচে ঢোকা নোনা জলে ভেসে গিয়েছে চাষের জমি। ফলে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।
নামখানার নাদাভাঙায় হরেকরকমের সব্জি চাষ হয়। গাড়ি গাড়ি সব্জি এখান থেকেই যায় নামখানার পাইকারি বাজারে। কিন্তু গোটা এলাকা এখনও জলের তলায়।
গণেশ পরিকর নামে নামখানার এক কৃষক বলেন, নোনা জলে সমস্ত নষ্ট হয়ে গিয়েছে, কোথায় যাব, কী করব বুঝতে পারছি না। এখান থেকে পাইকারি বাজারে সবজি যেত কলকাতায়। সব শেষ হয়ে গেছে।
আরেক কৃষক আশুতোষ দলুই বলেন, এতদূর জল আসবে ভাবিনি। নোনা জল ঢুকে গেছে। আগামী কয়েক বছর চাষ করা যাবে না।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফলানো ফসল চলে গিয়েছে জলের তলায়! জমিতে নোনা জল ঢুকে যাওয়ায় আবার কবে চাষবাস হবে, তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, এই অবস্থায় কী হবে? কী করে সংসার চলবে? সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে মিলেছে সাহায্যের আশ্বাস। নামখানা বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। কৃষক বন্ধু কার্ড থাকলে দুয়ারে ত্রাণের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা। কৃষি দফতর ক্ষয়ক্ষতি দেখার পর যাদের কার্ড নেই তাদের জন্যও ব্যবস্থা করা হবে।
এখন এই সরকারি সাহায্যটুকুকেই আকড়ে ধরে ফের মূল স্রোতে ফিরতে চাইছেন সব হারানো এই মানুষগুলো।