অমানবিক! পুলিশ-জিআরপির টানাপোড়েন, পাঁশকুড়ার রাস্তায় পড়ে রইল রেল আধিকারিকের দেহ
পূর্ব মেদিনীপুর: পাঁশকুড়ায় অমানবিকতার নজির। স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় ৬ ঘণ্টা ধরে পড়ে রইল রেল আধিকারিকের মৃতদেহ। মৃতের নাম মদনগোপাল দাস। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। ছিলেন, খড়গপুর ডিআরএম অফিসের চিফ সুপারিটেন্ডেন্ট। স্থানীয় সূত্রে খবর, কর্মক্ষেত্র থেকে সোমবার সন্ধেয় ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন মদনগোপাল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা পা পিছলে পড়ে যান। মাথায় আঘাত লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, প্রায় ২ ঘণ্টা পড়ে থাকার পর রেলের চিকিৎসকরা এসে মদনগোপালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু জিআরপি ও পাঁশকুড়া থানার পুলিশের টানাপোড়েনে আরও ৪ ঘণ্টা পড়ে থাকে মৃতদেহ। কেন এভাবে পড়ে রইল রেল আধিকারিকের মৃতদেহ? পুলিশের কোর্টে বল ঠেলেছেন পাঁশকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার মেঘরাই হাঁসদা। বলেন, আমরা সময়মতো পাঁশকুড়া থানাকে জানিয়ে দিই। অন্যদিকে, পাঁশকুড়া থানার বক্তব্য, এই ধরণের ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা রেলেরই। এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে, চলতি বছরের ১৮ জুন, নদিয়ার পায়রাডাঙা স্টেশনের ঘটনার কথা। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি। সময়মতো কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঘণ্টাখানেক প্ল্যাটফর্মে পড়ে থেকে মৃত্যু হয় তাঁর। এবার পাঁশকুড়ায় ঝরে গেল এক রেল আধিকারিকের প্রাণ। কেন সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন না কেউ? কেন সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেল না আহতকে? কেন এই অমানবিকতা? সেই প্রশ্নগুলো আবার উঠছে।