Alapan Banerjee: সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।
কলকাতা: সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।
গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা মিটিংয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিং শুরু হয়। ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিং শুরু করে কর্মীবর্গ দফতর। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ক্যাটের কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন। মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরাতে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে আবেদন করে কর্মীবর্গ দফতর। ২২ অক্টোবর মামলা দিল্লিতে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মমতার সফরের আগেই গোয়ায় উত্তেজনা, তৃণমূলনেত্রীর ছবি-ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিরত থাকার অভিযোগে শো-কজ করা হয়েছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৩১ মে ছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির শেষ দিন। সেদিনই তাঁকে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি না গিয়ে সেদিনই অবসর নেন এই আমলা। রাজ্য সরকার তাঁর কর্মজীবনের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর কথা জানালেও, শেষপর্যন্ত আর বাড়তি সময় চাকরি না করারই সিদ্ধান্ত নেন আলাপন।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এরপর জুন মাসে আরও একবার কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়েন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, নিয়ে আলাপনের কোনও বক্তব্য থাকলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে। তাছাড়াও জানানো হয়েছে, কেন তাঁর বিরুদ্ধে মেজর পেনাল্টি প্রসিডিং নয়, তা তাঁকে জানাতে হবে। এই ৩০ দিনের মধ্যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সামনাসামনি গিয়েও জানাতে পারেন, কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া লিখিতভাবেও নিজের বক্তব্য জানাতে পারেন আলাপন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : প্রাদেশিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায় তৃণমূল, বার্তা মমতার
আরও পড়ুন: Shantipur By-Poll : "শুকনো মুড়িতে দুধ", শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে গান হরিণঘাটার বিধায়কের