আলিপুরদুয়ারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলির অভিযোগে আটক বিজেপি কর্মী
রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডারের প্রকল্পের নির্দেশিকা জারি হবার আগেই ইন্টারনেট থেকে এই প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করে পুর এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: জেলা তৃনমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ফর্ম বিলির অভিযোগে আটক এক বিজেপি কর্মী। মিথ্যে অভিযোগ বলে দাবি বিজেপির।
রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডারের প্রকল্পের নির্দেশিকা জারি হবার আগেই ইন্টারনেট থেকে এই প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করে পুর এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ার পুর এলাকার প্রায় সব কয়টি ওয়ার্ডেই ইতিমধ্যেই লক্ষী ভান্ডারের ফর্ম বিলি করে ফেলেছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। এমনই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য তৃনমূলের সম্পাদক তথা আলিপুরদুয়ার জেলা তৃনমূলের মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী।
সৌরভ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় জড়িত আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। সৌরভ চক্রবর্তীর অভিযোগ এর আগেও বিজেপি বিধায়ক সুমন কঞ্জিলালের আপ্ত সহায়ক বিজেপি অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেবার কাজ করেছে।
সৌরভ বলেন, লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম বিলির অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার পুরসভার দুই, চার,ছয়, ওয়ার্ড সহ প্রায় বহু ওয়ার্ডে লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম বিলি করেছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। তৃনমুলের অভিযোগ সামনেই আলিপুরদুয়ার পুরসভার নির্বাচন। তাই পুরসভা ভোটের আগে লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম বিলি করে পুরভোট জিততে চাইছে বিজেপি।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবিতা সূত্রধর, প্রতিমা সূত্রধর বলেন ,সাতদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে বিজেপি নেতা মাধব সরকার এসে লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম দিয়ে যায়।এবং তা পূরণ করে তাঁর কাছে জমা দিতে বলেন। কিন্তু সেই ফর্ম আমরা এখনও জমা দেইনি।
বিজেপি নেতা মাধব সরকার বলেন সরকারি নির্দেশিকার কথা জানতাম না।তাই ইন্টারনেট থেকে সেই ফর্ম ডাউনলোড করে বিলি করেছিলাম।কিন্তু নির্দেশিকা জারির পর ফর্ম বিলি বন্ধ করে দিয়েছি।
যদিও জেলা বিজেপির সহ সভাপতি জয়ন্ত রায় বলেন, মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপির কোনো কর্মী ফর্ম বিলি করছেনা। সৌরভ চক্রবর্তী এখন প্রচারে নেই, মানুষ তার পাশে নেই, তাই প্রচারে আসার জন্য এসব করছেন। এটা ওনার রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা। পুলিশকে চাপে রেখে নিরীহ বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাচ্ছেন তৃণমূল নেতা। এমনই দাবি বিজেপি জেলা সহ সভাপতির।