Asansol Fraud Racket:লটারির টোপ দিয়ে দক্ষিণ ভারতে প্রতারণা, আসানসোলে পুলিশের জালে সাত আত্মগোপনকারী
অন লাইন শপিং-এর পুরস্কার হিসেবে স্ক্র্যাচ কার্ডের মোড়কে মোটা অঙ্কের প্রলোভন।সেই ফাঁদে পড়েই প্রতারিত হচ্ছিলেন একের পর এক।
কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: দক্ষিণ ভারতে প্রতারণা চক্র চালিয়ে আসানসোলে এসে আত্মগোপন করে ছিল অভিযুক্তরা। সেখান থেকে সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল মহকুমা আদালত। ধৃতদের জেরা করে চক্রের বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
অন লাইন শপিং-এর পুরস্কার হিসেবে স্ক্র্যাচ কার্ডের মোড়কে মোটা অঙ্কের প্রলোভন।সেই ফাঁদে পড়েই প্রতারিত হচ্ছিলেন একের পর এক।পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ভারতে চলছিল প্রতারণা চক্র। সেই চক্রেরই ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করল উত্তর আসানসোল থানার পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ই-কমার্স সংস্থার ক্রেতাদের যাবতীয় তথ্য বের করত চক্রটি।অনলাইন সংস্থার জিনিস নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছনোর দু’দিনের মধ্যে ক্রেতার কাছে সংস্থার নাম করে পৌঁছত রেজিস্ট্রি চিঠি ও স্ক্র্যাচ কার্ড।চিঠিতে বলা হত, কেনাকাটা করে ক্রেতা হয়েছেন লাকি উইনার।
পরে ক্রেতার কাছে যেত ফোন। বলা হত, স্ক্র্যাচ কার্ডে যে টাকার অঙ্ক রয়েছে তার ছবি তুলে, ক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইএফএসসি নম্বর হোয়াটস অ্যাপ করতে। মোটা টাকার প্রলোভনে পা দিয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়ার পর ক্রেতাকে পাঠানো হত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার প্রমাণ হিসেবে ভুয়ো ডিপোজিট স্লিপ।
কিন্তু কোনও টাকা জমা না পড়ায় যোগাযোগ করলে প্রসেসিং ফি বাবদ চাওয়া হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই টাকা দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যেত যোগাযোগ। এভাবে টোপ দিয়ে অনেক ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করেছিল ধৃতরা। এরপর আসানসোলে এসে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল তারা।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল সোনাওয়েন কুলদীপ সুরেশ বলেছেন, লটারির পাওয়ার নামে টাকা প্রতারণা করেছে ধৃতরা। আমরা তদন্ত করছি।
পুলিশ সূত্রে খবর,দক্ষিণ ভারতে প্রতারণা করে চক্রটি আসানসোলে ভাড়া বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিল।ধৃতদের বুধাবর আসানসোল মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন বিচারক।