Baitarani Project in West Bardhaman: পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির টানাপোড়েনের জের, আটকে শ্মশান তৈরির কাজ
সরকারিভাবে টাকা বরাদ্দ হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। তবুও পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির টানাপোড়েনের জেরে এখনও শুরু হল না পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় বৈতরণী প্রকল্পে শ্মশান তৈরির কাজ।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সরকারিভাবে টাকা বরাদ্দ হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। তবুও পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির টানাপোড়েনের জেরে এখনও শুরু হল না পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় বৈতরণী প্রকল্পে শ্মশান তৈরির কাজ। এখনও ত্রিপল টাঙিয়ে ছাতা হাতে করেই দাহ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাঁকসার শিবপুরে অজয় নদের তীরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই মৃতদেহ দাহ করতে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে কোনও স্থায়ী শ্মশান নেই। এর ফলে বৃষ্টিপাত হলে চরম বিপাকে পড়েন শবযাত্রীরা। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই বৈতরণী প্রকল্পে শ্মশান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্চায়েত সমিতি। শ্মশান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট বা PWD কর্তৃপক্ষকে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে বরাদ্দ হয়ে গেছে সরকারি টাকাও। কিন্তু তাতেও মিটল না সমস্যা। পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরে এখনও সেই কাজ শুরুই হল না। পঞ্চায়েত সমিতির অভিযোগ, পঞ্চায়েত গার্ডওয়াল তৈরি করেনি এখনও। এমনকী সেভাবে গুরুত্বও দিচ্ছে না গোটা ব্যাপারটাকে। ফলে সমিতি কাজ শুরু করতে পারছে না। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের এক সদস্যের দাবি বিষয়টি তাঁরা ঠিকমত জানেনই না।
পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির জেরে এখন ঝামেলায় পড়েছেন মৃতদেহ দাহ করতে আসা স্থানীয় মানুষজন। গত কয়েকদিন থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে চরম বিপাকে পড়তে হয় শবযাত্রীদের। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, দীর্ঘদিন আগেই বৈতরণী প্রকল্পে শ্মশান তৈরির জন্য সরকারি ভাবে টাকা বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি। এখন স্থানীয়দের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে ফেলা হয়েছে? এতদিনেও কাজ শুরু না হওয়ায় চরম দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। এদিকে বৃষ্টিপাতের জেরে ত্রিপল টাঙিয়ে ছাতা হাতে মৃতদেহ দাহ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ প্রবোধ মুখার্জি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।