Oxygen Home Delivery: এক ফোনেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে অক্সিজেন, অভিনব উদ্যোগ মহিষাদলে
১০ জন মিলে গড়ে তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। কারোর পেশা গৃহশিক্ষকতা। কারোর আবার পাড়ার মোড়ে প্রসাধন সামগ্রীর ছোট্ট দোকান...
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। কারোর পেশা গৃহশিক্ষকতা। কারোর আবার পাড়ার মোড়ে প্রসাধন সামগ্রীর ছোট্ট দোকান। এতদিন পাড়ার লোক ওদের ওই পরিচয়েই চিনতেন। কিন্তু করোনা-সঙ্কট ওদের অন্যভাবে চেনাল।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে ১০ জন মিলে গড়ে তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওদের কাজ বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া। শুধু একটা ফোন কল। তারপরই কখনও সাইকেলে, কখনও মোটরবাইকে রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে অক্সিজেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য গৌরাঙ্গ বেজ বলেন, এবার করোনা সংক্রমণে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে...তাই যার দরকার ফোন পেলে তার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি। কারোর দোকান বা বাড়ি থেকে অতিরিক্ত সিলিন্ডারও সংগ্রহ করছি।
দিন দিন অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে। জোগান কম থাকায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনই একজন শম্ভুনাথ দাস। তিনি বললেন, ভাবতেও পারিনি এমন সহযোগিতা পাব। বলার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছে ওরা।
এবার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তিনি বললেন, খুব প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমরা এদের পাশে রয়েছি। সহযোগিতা করব।
অতিমারী-সঙ্কটে প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে এই তরতাজা স্বেচ্ছাসেবীরাই এখন মহিষাদলের অক্সিজেন।