পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ! স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে
রাত ১টা নাগাদ বাড়ির অন্যান্যদের এবং প্রতিবেশীদের স্বামীর নিখোঁজের কথা জানান আলাউদ্দিন স্ত্রী আরজিনা বিবি।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি: স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সিউড়ি থানার অন্তর্গত ছোট আলুন্দা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর ৩৭-এর শেখ আলাউদ্দিন।
এরপর রাত ১টা নাগাদ বাড়ির অন্যান্যদের এবং প্রতিবেশীদের স্বামীর নিখোঁজের কথা জানান আলাউদ্দিন স্ত্রী আরজিনা বিবি। শেষ নয় এখানেই। বাড়ির পাশের একটি পুকুরে স্বামীর দেহ পড়ে থাকার আশঙ্কার কথাও প্রতিবেশীদের বলেন অভিযুক্ত স্ত্রী।
এরপরই খোঁজ শুরু করেন স্থানীরা। বেশ খানিক্ষণ খোঁজার পর স্ত্রীর অনুমান মতোই বাড়ির পাশের পুকুর থেকেই উদ্ধার হয় শেখ আলাউদ্দিনের মৃতদেহ। সন্দেহ জোরাল হয় এর পরেই। মৃতের স্ত্রী আরজিনা বিবিকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানার পুলিশকে।
যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, 'রাত গড়িয়ে সকাল হয়ে গেলেও পুলিশ এসে পৌঁছয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বেশ খানিক্ষণ পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এরপরই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ এবং অবরোধ তুলে দেওয়া হয়।
উত্তেজিত গ্রামবাসীরা এদিন অভিযুক্ত আরজিনা বিবিকে মারধরের চেষ্টা করেন। সবমিলিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সকালে উত্তেজিত বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে অভিযুক্ত আরজিনা বিবিকে উদ্ধার করে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বেশ খানিক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। যদিও জেরায় খুনের কথা অস্বীকার করেছেন মৃতের স্ত্রী আরজিনা। পুলিশ সূত্রে খবর, 'বয়ানে আরজিনা বিবি জানিয়েছেন, স্বামীর মৃগী রোগ ছিল। সে কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, 'স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, শ্বাসরোধ করেই স্বামী শেখ আলাউদ্দিনকে খুন করেছে আরজিনা বিবি। তবে ঘটনাটি খুন নাকি নেহাত দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ। মৃত দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধনেখালির জোড়া মৃত্যুর খবরে গতকাল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। একই সঙ্গে উদ্ধার হয় স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে স্বামীর দেহ। অন্যদিকে ঘরের বাইরের গাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা সোমা রায় ঘোষের বয়স ৩২। তিনি ধনেখালি সোমসারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। অন্যদিকে বছর ৩২-এর স্বামী শ্রীমন্ত ঘোষ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্বামী -স্ত্রী একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এর পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।