জন প্রতি ২৫০ টাকা, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নিত্যযাত্রী পরিবহণ! আটক চালক
জন প্রতি ২৫০ টাকা, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নিত্যযাত্রী পরিবহণ! আটক চালক
![জন প্রতি ২৫০ টাকা, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নিত্যযাত্রী পরিবহণ! আটক চালক Burdwan ambulance controversy 250 rupees per person, daily transport in government ambulance! Detained driver জন প্রতি ২৫০ টাকা, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নিত্যযাত্রী পরিবহণ! আটক চালক](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/08/05/34f1f4f26d571ea4c6be796ce447c543_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিয়ে হয়রানির ছবি শহরে নতুন নয়। তবে সম্প্রতি যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে চক্ষু চড়কগাছ অনেকেরই। জন প্রতি আড়াইশো টাকার বিনিময়ে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে চলছে নিত্যযাত্রী পরিবহণ। সরকারি হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া-আসার জন্য যে গাড়ি বরাদ্দ তাতে করে মুর্শিদাবাদ থেকে ডানকুনি যাতায়াত করছেন সাধারণ যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কাজ করে অ্যাম্বুলেন্সটি।
করোনাকালে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে যখন ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে, তখন ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছিল ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স। ডায়াল করলেই দরজার হাজির হয়েছে বিনামূল্যের সরকারি পরিষেবা। সেই অ্যাম্বুল্যান্সেই ঠাসাঠাসি করে বসানো হয়েছে দশ জন যাত্রী।
এ দিন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে ডানকুনিতে যাত্রী পরিবহনের সময়ে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে নাকা চেকিং চলার সময় ধরা পড়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি। এর পরেই জানা যায় ১০ জন করে যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের পথে বাড় ইনকাম করত সে। চালকের দাবি, সে কলকাতা থেকে রোগী নিয়ে বীরভূমের নলহাটি গিয়েছিল। ফেরার পথেই যাত্রী নিয়েছিল।
যদিও ভুল স্বীকার করে চালক জানান, 'সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী তোলা ভুল হয়েছে।' পাশাপাশি থানা থেকে জামিন দেওয়া হলেও ১০ যাত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় রুজু করা হয়েছে মামলা। সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে কী করে এভাবে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ঘটনাকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তের কথায়, ' রোগী নিয়ে যাওয়ার বদলে নিত্যযাত্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় স্বাস্থ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্তে দাবি করছি।'
এ প্রসঙ্গে পাল্টা পূর্ব বর্ধমান তৃনমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিত্ দাস জানিয়েছেন, ' একজন অন্যায় করেছে পুলিশ তাঁকে ধরেছে, এতেই প্রমাণিত হয় সরকার কাজ করে। টাকার বিনিময়ে সরকারি গাড়িকে যাত্রী তোলা জঘন্যতম অপরাধ। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)