গাড়ির ওপর উল্টে পড়ল আলকাতরা ভর্তি ট্যাঙ্কার, ২ শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু
বর্ধমান: বর্ধমানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ওভারটেক করতে যাওয়া গাড়ির উপর উল্টে পড়ল পিচ বোঝাই ট্যাঙ্কার। আটকে পড়ে ২ শিশু-সহ গাড়িতে থাকা একই পরিবারের ৭ সদস্যের মৃত্যু। মৃতেরা হলেন -- এস এন সিংহ, রাজের কুমার, রাজেনের স্ত্রী রেশমি, ১১ বছরের মেয়ে রিয়া, ৮ বছরের ছেলে আরব এবং ৬ বছরের মেয়ে অনন্যা বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গরম পিচ বোঝাই একটি ট্যাঙ্কার উল্টে পড়ে ওই গাড়ির উপর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি দ্রুত গতিতে বাঁদিক দিয়ে ওভারটেক করার চেষ্টা করে ট্যাঙ্কারটিকে। গাড়িটিকে জায়গা দিতে গিয়ে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডানদিকের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ট্যাঙ্কারটি বাঁদিকে উল্টে পড়ে গাড়ির ওপর। গরম পিচ বোঝাই ট্যাঙ্কারের তলায় পুরোপুরি চাপা পড়ে যায় গাড়িটি। যাত্রীদের চিত্কারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চেষ্টা করলেও ভারী ট্যাঙ্কারটিকে নাড়াতে পারেননি তাঁরা। উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ট্যাঙ্কার থেকে গড়িয়ে পড়া গরম পিচ।
পড়ুন: বর্ধমান দুর্ঘটনা: থমথমে হাওড়া স্টেশনের আরপিএফ অফিস, শোকের ছায়া রেল কোয়ার্টারে
দুর্ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত ট্যাঙ্কারের নীচে চাপা পড়া গাড়ির ভিতর থেকে শোনা যায় এক শিশুর কান্না। হাত বের করে জানাতে থাকে বাঁচানোর কাতর আর্তি। তখনও পুলিশ বা দমকল আসেনি। শিশুটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। এরপর ছুটে আসে পুলিশ ও দমকল। আনা হায় তিনটি ছোট ক্রেন। কিন্তু সেই ক্রেন দিয়েও ট্যাঙ্কারটিকে নাড়ানো যায়নি। শেষমেশ, ঘণ্টা দেড়েক পর আনা হয় বড় ক্রেন, তোলা হয় ট্যাঙ্কারটিকে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। থেমে গিয়েছে সেই শিশুর কান্না....! একে একে উদ্ধার করে ৭ জনকে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ২ শিশু, ১ নাবালিকা, ২ মহিলা ও ২ পুরুষ সহ পরিবারের ৭ জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।