এক্সপ্লোর
Advertisement
রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রথম বলি, ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৫৭ বছরের ব্যক্তির
রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের মৃত্যু। আমরি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ভেন্টিলেশনে থাককালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। দমদমের বাসিন্দা ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তি এ রাজ্যে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: সাত দিনের লড়াই শেষ!সল্টলেকের হাসপাতালে করোনায় রাজ্যে প্রথম মৃত্যু!দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯!রাজ্যে আক্রান্ত ৬!
১৬ তারিখ থেকে সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দমদমের বাসিন্দা ৫৭ বছরের ব্যক্তি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন ভেন্টিলেশনে। সোমবার দুপুর ৩টে ৩৫মিনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল থেকে আরও জানানো হয়েছে, মৃতের দেহ দেওয়া হবে না পরিবারের হাতে।মৃতদেহ সত্কার করা হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে। নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠক চলাকালীন করোনায় রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর খবর পান মুখ্যমন্ত্রী। চিকিত্সকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত সৎকারের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, চূড়ান্ত সতর্কতার সঙ্গে দেহ ওয়ার্ডে থেকে বের করে শেষকৃত্যে নিয়ে যেতে হবে। দেখতে হবে, শরীর থেকে কোনও ভাবে যাতে রস গড়িয়ে না পড়ে। লিক প্রুফ প্যাকেটে বিশেষ রাসায়নিক দিয়ে সিল করে নিয়ে যেতে হবে দেহ। না ছুঁয়ে সত্কারের সময় ধর্মীয় আচার পালন করতে হবে বন্ধ ব্যাগের ওপর থেকে। তবে শেষকৃত্যের পর সংগ্রহ করা যাবে ছাই। পরিবার সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে স্ত্রীকে নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ২ মার্চ, পুণে থেকে আসা আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফেরেন। জানা গিয়েছে, ৮ মার্চ নিউটাউনের একটি শপিং মলে যান প্রৌঢ় ও তাঁর স্ত্রী। গত ১৩ তারিখ থেকে জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দেয়।তারপরই ভর্তি করা হয় সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২০ ও ২১ মার্চ, দু’বার ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা হয় নাইসেড ও এসএসকেএম হাসপাতালে। দু’টি টেস্টই পজিটিভ আসে। মহারাষ্ট্রে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০। পরিজনদের আশঙ্কা, পুণে থেকে ট্রেনে ট্রেনে আসার সময়ই সংক্রমণ হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মৃতের ছেলে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি মৃতের ছেলে পরিবারের কাছে এসেছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পরিজন সহ যাঁরা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরাও এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, মৃতের স্ত্রী, মেয়ে, শাশুড়ি ও পরিচারিকা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এর আগে ওই ব্যক্তি বাগুইআটির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। যে চিকিত্সক প্রথমবার তাঁকে দেখেছিলেন, সেই চিকিত্সক ও তাঁর সহকারী এবং সহকারীর পরিবারের লোকজন এবং যিনি রক্ত সংগ্রহ করেছিলেন - তাঁরাও ভর্তি হাসপাতালে। পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে এসএসকেএমে। পাশাপাশি, তিনি কোন রোগীদের সঙ্গে ছিলেন, কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। রেলে কর্মরত ছিলেন মৃত ব্যক্তি।মৃতের সহকর্মীদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
Advertisement