Darjeeling : প্রবল বৃষ্টি, ধস নেমে প্রাণ গেল সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত ২ শ্রমিকের
'৪ জন এখনও নিখোঁজ। ২ জনের দেহ পাওয়া গেছে। আরও ২ জনকে উদ্ধার করা গেছে।'
উমেশ তামাঙ্গ, কালিম্পং: মৌসুমী বায়ু ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গও। টানা ভারী বৃষ্টির জেরে কালিম্পং-সহ পাহাড়ের একাধিক জায়গায় নামল ধস। শুক্রবার বৃষ্টির মধ্যেই চলছিল সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ। সেই সময়েই হঠাৎই ধস নেমে চাপা পড়ে যান ৮ জন শ্রমিক। ইতিমধ্যে ২ জনের দেহ উদ্ধার করা গেলেও অনেকের দেহই এখনও পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ২ শ্রমিকের মৃতদেহ মিলেছে।২ জন শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধারও করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ৪ জন শ্রমিকের কোনও সন্ধান এখনও মেলেনি। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় বন্ধ কালিম্পং ও শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা।
পুলিশ সুপার হরেকৃষ্ণ পাই জানিয়েছেন, '৪ জন এখনও নিখোঁজ। ২ জনের দেহ পাওয়া গেছে। আরও ২ জনকে উদ্ধার করা গেছে।'
অন্যদিকে, কালিম্পংয়েরই শিসোপানি গ্রামে ধস নেমে ক্ষতি হয়েছে ৩টি বাড়ির। আহত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার ২২টি পরিবারকে সরকারি সহায়তায় নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। কালিম্পঙের শিসোপানির বাসিন্দা সুভাষ ছেত্রী জানান, '' রাতে ধস নামে। সবাই আতঙ্কে রয়েছে। ২২টি পরিবার নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছে।''
কালিম্পং আর শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা ধসের কারণে বন্ধ হওয়ায় থমকে গেছে পাহাড়ের গতি। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অসংখ্য গাড়ি। গাড়ি চালক কুমার শাহ জানালেন, '' শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাচ্ছিলাম। সেই সময় ধস নামে। আমরা আটকে পড়ি।''
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে বলে দাবি প্রশাসনের। জানানো হয়েছে, '' রাস্তা পরিষ্কারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু কতক্ষণে এই কাজ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।'' এখন দেখার, কতক্ষণে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে পাহাড়।
বৃষ্টিতে বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রাণ গেল বেশ কয়েক জনের। তার মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন ৩ জন। বাড়ি ভেঙে ও দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের। জাতীয় সড়কে ধস নেমে প্রাণ গেছে একজনের।