পরপর মেয়ে হওয়ায় গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার দেওর, ফেরার স্বামী
নিহতের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, পরপর কন্যাসন্তান হওয়ায় তাঁদের মেয়ের ওপর শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চরমে ওঠে। এরপর তাঁদের মেয়েকে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। পরে ঘাটাল হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর ৩২-এর গৃহবধু গীতা সাঁতরার।
সোমনাথ দাস, দাসপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): পরপর কন্যাসন্তান হওয়ায় গৃহবধূর ওপর অত্যাচার, তারপর তাঁকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ধরমপুর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম গীতা সাঁতরা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পরপর ২ মেয়ে হওয়ায় গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। গত ১১ জুন, মারধর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গৃহবধূকে। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ময়নাতদন্তের পর দেহ শ্বশুরবাড়ির সামনে ফেলে পালায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পরে মৃত গৃহবধূর দেওরকে গ্রেফতার করে দাসপুর থানার পুলিশ।
নিহতের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, পরপর কন্যাসন্তান হওয়ায় তাঁদের মেয়ের ওপর শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চরমে ওঠে। এরপর তাঁদের মেয়েকে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। পরে ঘাটাল হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর ৩২-এর গৃহবধু গীতা সাঁতরার।
তাঁর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, গত ১১ জুন দুপুরে গীতাকে ব্যাপক মারধর মারধর করা হয় এবং বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন ঘটনার খবর দাসপুর থানা দেওয়া হলে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১৮ জুন শুক্রবার হাসপাতালে গীতার মৃত্যু হয়। এরপরই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর ধরমপুরে তার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ির সবাই ততক্ষণে ফেরার হয়ে গিয়েছে। ফলে বাড়ির বাইরে সারারাত পড়ে থাকে মৃতদেহ। সকালে গ্রামবাসীরা খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন ও পুলিশের উদ্যোগে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন। মৃতার বাড়ির লোকের বক্তব্য সুবিচারের আশায় তারা দেহ সৎকার করতে চাননি। অন্যদিকে মৃতার স্বামী তপন সাঁতরা ও তার পরিবার পলাতক। গীতার বাবার বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তপন সাঁতরার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে।এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।