আমের পেটি থেকে উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার মাদক, গ্রেফাতর ৬
বুধবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় ডায়মণ্ডহারবার পুলিশ
জয়ন্ত রায়, ডায়মণ্ডহারবার: চন্দনকাঠের পর এবার আমের পেটির আড়ালে উদ্ধার ৫০ কেজি মাদক। পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৬ জন। জানা গিয়েছে, ওড়িশার ভদ্রক থেকে আসছিল আম বোঝাই ওই ট্রাকটি। আমের পেটির তলায় লুকিয়ে রাখা ছিল মাদক দ্রব্যগুলি।
বুধবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়েযৌথ উদ্যোগে অভিযান চালায় ডায়মণ্ডহারবার পুলিশ, জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি সুজয় গায়েন এবং বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরের মলঙ্গা থেকে এদের পাকড়াও করা হয়েছে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কেজি মাদক। যার বাজার মূল্য আনুমানিক কয়েক লক্ষ টাকা।
ডায়মণ্ডহারবার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মগরাহাটে মাদক বিক্রির জন্য যাচ্ছিল এরা। অভিযুক্তদের একজন ওড়িশার বাসিন্দা। বাকিরা নরেন্দ্রপুর, সোনারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। নরেন্দ্রপুরেই মূল পাণ্ডার বাড়ি। মূলত ওড়িশা থেকে মাদক এনে সঙ্গীদের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন জায়গা যেমন বারুইপুর, নরেন্দ্রপুর, ক্যানিং, মগরাহাট, জয়নগর, বিষ্ণুপুর, কুলতলিতে তা পাচার করত।'
এদের সঙ্গে আর কারা জড়িত তার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মগরাহাটে কাদের কাছে এই মাদক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাও খতিয়ে দেখা হবে। ধৃতদের আগামিকাল আলিপুর আদালতে এদের তোলা হবে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
গতকালও হুগলির ডানকুনি থেকে আটক করা হয় বিপুল পরিমাণে চন্দন কাঠ। ডানকুনি থানার পুলিশকর্মীরা ওই চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ডানকুনি সাঁতরাপাড়ায় একটি লরি আটক করা হয়। সেই লরিতে ছিল প্রায় ৬ টন চন্দন কাঠ। লরিটিতে আমের বস্তা রাখা ছিল। সেই বস্তা সরাতেই বেরিয়ে আসে চন্দন কাঠ। লরিটি কর্ণাটক থেকে আসছিল।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানান ,ডানকুনি দিল্লি রোডের পাশে একটি গোডাউনে লরি থেকে চন্দন কাঠ নামানো হচ্ছিল। ডানকুনি থানা খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয়। তদন্তকারীদের অনুমান, পাচারের উদ্দেশ্যেই এই বিপুল পরিমাণে চন্দন কাঠ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লরিটি থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতরা হল ডেভিড সাউ ও মর্গান তিউয়ার, দুজনেই কলকাতার বাসিন্দা। বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার তদন্ত করছে।