Fake IPS Officer: ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষির বেলঘরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি, মিলল প্রচুর অস্ত্র-গুলি, ব্লেজার-উর্দি
ধৃতের বাবা ছিলেন প্রফেসর। ছেলে গ্রেফতার হলেন আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালককেও।
কলকাতা: ভুয়ো আইপিএস অফিসার রাজর্ষি ভট্টাচার্যর গ্রেফতারির পর এবার তাঁর বেলঘরিয়ার বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি। গতকাল রাতে ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। ভুয়ো আইপিএস অফিসারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রাইফেল, দোনলা বন্দুক, রিভলবার, এয়ার গান-সহ ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রচুর গুলি। উদ্ধার হয়েছে আইপিএস লোগো লাগানো ব্লেজার ও অশোক স্তম্ভ লাগানো খাকি উর্দি। এছাড়াও, ভুয়ো আইপিএস অফিসারের বাড়িতে মিলেছে কয়েক সেট ওয়াকি টকি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রাজর্ষি দাবি করেছেন, তিনি উত্তর কলকাতা রাইফেল ক্লাবের সদস্য। তাঁর এই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, বাজর্ষিকে আইপিএস অফিসার হিসেবেই জানতেন। অনেক লোকজনকে নিয়ে রাজর্ষিকে আসতে দেখতেন তাঁরা।
ভুয়ো আইপিএস অফিসার পরিচয় দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে বেলঘরিয়ার বাসিন্দা রাজর্ষি ভট্টাচার্য। অভিযোগ, নিজেকে র’-এর অফিসার বলেও পরিচয় দিতেন অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার পিস্তল ও গুলি।
ধৃতের বাবা ছিলেন প্রফেসর। ছেলে গ্রেফতার হলেন আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালককেও।
সোমবার রাতে ইএম বাইপাস থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।পুলিশের দাবি, অভিযোগ, সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে পুলিশ কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চায়। এরপরই, ওই ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হন।তারপরই পর্দাফাঁস হয় ভুয়ো আইপিএসের।
বেলঘরিয়ায় বিলাসবহুল বাড়িতে থাকতেন রাজর্ষি। বাড়ির চারদিক ছিল সিসি ক্যামেরায় মোড়া।পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত রাজর্ষি নিজেকে র’এর অফিসার বলেও পরিচয় দিতেন।রাজর্ষি মাঝে মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকার লোককে ভয় দেখাতেন বলেও অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে একটি সেভেন এমএম পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।যদিও, অভিযুক্ত ভুয়ো আইপিএস-এর দাবি, তাঁর কাছে যে আগ্নেয়াস্ত্র আছে তার লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্সটি আসল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।ধৃতের রক্ষীর কাছ থেকেও উদ্ধার হয়েছে একটি রিভলভার।
পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত নিজেকে শুধু আইপিএস অফিসার বলেই পরিচয় দিতেন না, পাশাপাশি, পেন্টিংও বিক্রি করতেন।