এক্সপ্লোর
Advertisement
মমতা রাজ্যে বিজেপি রুখতে বামেদের সঙ্গে চাইলে কথা হতেই পারে, গৌতমের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
কলকাতা: রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে ভবিষ্যতে কি কাছাকাছি আসতে পারে সিপিএম-তৃণমূল? জল্পনা উস্কে দিলেন গৌতম দেব। তৃণমূল নেত্রী বিজেপিকে রুখতে তাঁদের সঙ্গে চাইলে তাঁরা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সিপিএম নেতা। বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে যদি নিতে পারি, এ তো কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা একটা টুকরো। মমতা যদি সবার সামনে বলে আমি লেফটকে চাই, ভেবে দেখা হবে। বিমানদার সঙ্গে কথা বলবে। তখন দেখব। একটা সিটও যেন এখান থেকে না পায় বিজেপি।
কথায় আছে রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু হয় না। কিন্তু, এটা কি আদৌ সম্ভব? ১৮ বছর ধরে যে মমতা ও সিপিএম চরম শত্রু বলে পরিচিত, তারা কি বিজেপিকে রুখতে হাত মেলাতে পারে? কংগ্রেস-সিপিএম আগে হাত মিলিয়েছে। কংগ্রেস-তৃণমূলও হাত মিলিয়েছে। এমনকী, বিজেপি-তৃণমূলেরও জোট হয়েছে। কিন্তু, তাই বলে কি সিপিএম-মমতাও এক হতে পারে? জল্পনা উসকে গৌতম দেবের মন্তব্য, তৃণমূল নিশ্চয় গন্ডগোল করেছে। আমাদের লোকেরা মার খাচ্ছে। তার সাথে কাজ করা মুশকিল। কিন্তু, এটা বড় ডেঞ্জার ভারতবর্ষে। গণতন্ত্র শেষ হয়ে যাবে মোদী, অমিত শাহ, এই লোকটা যদি আসে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আপাত দৃষ্টিতে আলিমুদ্দিন আর কালীঘাটের মিলন কার্যত অসম্ভব মনে হলেও রামনবমীর মিছিলের পর রাজ্য রাজনীতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা হয়তো অনেক সমীকরণই বদলে দিতে পারে। গৌতম দেবের মন্তব্যে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জল্পনা আরও উসকে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, গৌতমবাবুর ব্যক্তিগত মত নাকি পার্টি লাইন? তৃণমূল নেত্রী প্রথম থেকেই বলছেন, সারা দেশে বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগ্রহী থাকলে একজোট হওয়া দরকার। যাঁরাই সাড়া দেবেন, তাঁদেরই একজায়গায় আসা উচিত।
কিন্তু খোদ সিপিএমের অন্দরেও কি গৌতম দেবের এই প্রস্তাব সমর্থন জোগাড় করতে পারবে? বাম শরিকরাও কি বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রস্তাবে সম্মতি দেবে?
তবে পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছে, বিধানসভা ভোটের আগে একদম শুরুতে গৌতম দেব যখন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধার কথা বলতেন, তখনও কেউ সেভাবে গুরুত্ব দিতেন না! কিন্তু পরে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম সমঝোতা হয়েছে! গৌতম দেবের সেই তত্ত্বেই সিলমোহর পড়েছে।
খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক অতীতে বারবার বলেছেন, মোদী বিরোধীদের একজোট হওয়া উচিত। সূর্যকান্ত মিশ্ররাও বলছেন, সমস্ত গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির একজোট হওয়ার সময় এসে গিয়েছে!
সূত্রের খবর, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোদীর প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী দিতে তৎপর হয়েছেন সনিয়া গাঁধী। ইতিমধ্যেই সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, এনসিপির শরদ পওয়ার, জেডিইউয়ের শরদ যাদবের সঙ্গে তাঁর একপ্রস্থ কথা হয়েছে। সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়িই মমতা ও মায়াবতীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সনিয়া। তাহলে কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সনিয়ার নেতৃত্বে মোদি বিরোধী জোটে একমঞ্চে দেখা যেতে পারে মমতা-ইয়েচুরিকে? আর এমনটা হলে কি আগামীদিনে এ রাজ্যেও বিজেপিকে রুখতে সিপিএম-তৃণমূল একজোট হতে পারে? রাজনৈতিক মহলে এখন জোর জল্পনা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বিনোদনের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement