বাড়ি এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন লকেট, একমাস পরেও মেলেনি সাহায্য, দাবি হুগলিতে বজ্রপাতে মৃতার স্বামীর
মহিলার মৃত্যুর পর বাড়িতে ভিড় লেগে গিয়েছিল রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের...
সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: প্রাকৃতিক দুর্যোগে এক মহিলার মৃত্যুর পর মৃতার বাড়িতে ভিড় লেগে গিয়েছিল রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। আশ্বাস মিলেছিল আর্থিক সাহায্যের। পরিবারের দাবি, রাজ্য সরকারের সাহায্য মিললেও, প্রতিশ্রুতি মতো এখনও কেন্দ্রের সাহায্য জোটেনি।
৭ জুন বজ্রপাতে মারা যান হুগলির সিঙ্গুরের নসিবপুরের বাসিন্দা সুস্মিতা কোলে। এরপর ৯ জুন মৃতার বাড়িতে আসেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতি দেন কেন্দ্রীয় সাহায্যের। কিন্তু, পরিবারের দাবি, এখনও তার কানাকড়ি মেলেনি।
মৃতার স্বামী নরেন কোলে বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় কাগজপত্র জমা দিতে বলেছিলেন। সেইমতো বিজেপি নেতারা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। ১০ দনি পর বললেন এখানে হবে না, বিডিও-তে যান। সেই মতো স্থানীয় নেতা বিডিও তে নিয়ে গিয়ে উনি আধিকারিকের সঙ্গে একা কথা বলে এসে জানান সেখানেও নয়, জেলা পার্টি গিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে। সেই মতো নিজে চুঁচুড়াতে বিজেপির পার্টি অফিসে গিয়ে কাগজ জমা দিয়েছি। বললেন, তাঁরা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু এখনও কিছু পাইনি।
লকেট যেদিন নসিবপুর গিয়েছিলেন, তারপর দিনই সেখানে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে পরিবারের হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্য। সেই প্রসঙ্গ তুলে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূল কংগ্রেস সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া বলেন, রাজ্য সরকারের চেক পাওয়ার পর লকেট বাড়িতে এসে ভোটার কার্ড, ছবি সহ নথি নিয়ে ভাঁওতা দিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত তাঁকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। এটা বিজেপি সরকারের একটা ভাঁওতা ছাড়া আর কিছু নয়।
এপ্রসঙ্গে বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি সঞ্জয় পাণ্ডে বলেন, আমি নিজে বিডিও-র সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে যাই। উনি বলেন, সব তথ্য আছে। আমরা তা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এবার উনি পাঠিয়েছেন কিনা সন্দেহ আছে। যেহেতু বিজেপি বিষয়টা দেখছে তাই হয়তো তারা এমন করছে। তৃণমুল যে অভিযোগ এনেছে তা ঠিক নয়।
এবিষয়ে সিঙ্গুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বজ্রপাতে মৃতার যাবতীয় নথি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।