(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
স্বামী-সন্তানদের পাশের ঘরে আটকে রেখে গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’, হাতেনাতে পাকড়াও এক দুষ্কৃতী
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের রসপুঞ্জে স্বামী-সন্তানকে অস্ত্র দেখিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। স্থানীয় ও পুলিশের তৎপরতায় পাকড়াও স্থানীয় যুবক। পরে গ্রেফতার আরও এক। মাত্র সাতদিন আগে গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান করে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন দম্পতি। কিন্তু সেই বাড়িই যে তাঁদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে, তা আঁচ করতে পারেননি কেউ-ই। বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পিকলু সর্দার এবং নিতাই প্রামাণিক নামে দুই স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে। এক যুবকের বাইকে আগুন ক্ষিপ্ত জনতার। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে দুই যুবক। দরজা খুলতেই অস্ত্র দেখিয়ে দু’জন ঘরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, এরপরে তাঁকে ও দুই মেয়েকে পাশের ঘরে পাঠিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। স্বামীর অভিযোগ, অন্যঘরে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই দুই যুবক। স্ত্রীর ওপর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, একসময় চেঁচিয়ে ওঠেন স্বামী। তাঁর দাবি, চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তখনই পিকলু বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। নিতাই দৌড়ে পালায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও টহলরত পুলিশকর্মীদের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় পিকলু। উদ্ধার হয় মোটরবাইক। তাকে গ্রেফতার করে বিষ্ণপুর থানার পুলিশ। পিকলুকে জেরা করে নিতাই নামে অন্য যুবককে বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া বাইকটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে, ঘটনার পর ধারাল অস্ত্রটি ফেলে দিয়েছে তারা। সেই অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় অসামাজিক কাজ করত বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনা করেই এই কাজ করেছে অভিযুক্তরা। জনববুল এলাকায় এরকম ঘটনা ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মহিলারা। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নির্যাতিতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।