ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার বাবা-ছেলে
'একটা ডিল আছে। ভাল প্রফিট। যদি আগ্রহী হন, তাহলে কথা বলা যেতে পারে। বেলার দিকে ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সের কাছে রেস্তোরাঁয় চলে আসুন।'
সুনীত হালদার, হাওড়া: ডোমজুড় থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ। মামলা রুজুর তিনদিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে হানা দিয়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ধৃতেরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। তাঁদেরকে দু-দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া আদালত।
একটা ডিল আছে। ভাল প্রফিট। যদি আগ্রহী হন, তাহলে কথা বলা যেতে পারে। বেলার দিকে ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সের কাছে রেস্তোরাঁয় চলে আসুন। অভিযোগ, এ ভাবেই ফোনে টোপ দেওয়া হয় হাওড়ার লিলুয়ার আনন্দনগরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী দেবনাথ দাসকে। অভিযোগ, গত ৪ অগাস্ট দেবনাথ নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছতেই চার ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবারের দাবি, অপহরণের পর ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঙ্গলা দাসের কথায়, ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। বলে না দিলে প্রাণে মেরে ফেলবে। ডোমজুড় থানায় অভিযোগ দায়ের করার ৩ দিনের মাথায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীকে শনিবা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মূল অভিযুক্তকে। ধৃত সফিকুর রহমান ও ওয়াইজ খান সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
সূত্রে খবর, যে নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ, তার টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের চানশেরপুর এলাকায় হানা দেয় ডোমজুড় থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, শনিবার গভীর রাতে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। সফিকুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় দেবনাথকে।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী দেবনাথ দাস বলেন, ঘড়িতে বিকেল প্রায় ৩টে। অভিযুক্ত ও অভিযুক্তর ছেলে আরও দু-জনকে সঙ্গে নিয়ে আসে। মারধর করে মুখ চাপা দিয়ে গাড়িতে তোলে। অপহরণ করে আমাকে।
অপহরণে অভিযুক্ত সফিকুর রহমানের দাবি, আমি ওর থেকে টাকা পেতাম। সেই টাকা ও দিচ্ছিল না। সরকারি আইনজীবী তারাগতি ঘটক জানিয়েছেন,
আদালত দু দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অপহরণের গাড়ি উদ্ধার করা হবে। সেই সঙ্গে চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা, এসব খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে দাবি, ধৃতরা এক সময় দেবনাথ দাসের লোহার কারখানায় কাজ করতেন।