Howrah: হাওড়ার কোভিড হাসপাতালে কমছে রোগীর সংখ্যা, সব চিকিৎসা পরিষেবা চালুর দাবি স্থানীয়দের
আশার ছবি হাওড়ার হাসপাতালে। জেলায় কোভিড পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ঘুশুড়ির টিএল জয়সওয়াল কোভিড হাসপাতালে খাঁ খাঁ করছে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: রাজ্যে কমছে দৈনিক সংক্রমণ। নিম্নমুখী মৃতের সংখ্যাও। এই আবহে আশার ছবি দেখা গেল হাওড়ার হাসপাতালে। জেলায় কোভিড পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ঘুশুড়ির টিএল জয়সওয়াল কোভিড হাসপাতালে খাঁ খাঁ করছে। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা ২৫। নার্স রয়েছেন ৪৫। অথচ রোগীর সংখ্যা মাত্র ৩। এদিকে, এই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করার পর থেকেই বিপাকে এলাকার বাসিন্দারা। রোগীর সংখ্যা কমায় এবার স্থানীয়দের দাবি, সব চিকিৎসার জন্য পরিষেবা চালু করুক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে সেখানে কোনওভাবেই অন্য রোগের চিকিৎসা সম্ভব নয়।
উত্তর হাওড়ার ঘুশুড়ির টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল সালকিয়া, ঘুশুড়ি, লিলুয়া, বেলুড়, বালি এবং কোনার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ওই হাসপাতালে ইমারজেন্সি, আউটডোর, মেটারনিটি, মেল মেডিক্যাল, ফিমেল মেডিক্যাল, টিবি ইউনিট, ইএনটি সহ একাধিক ওয়ার্ডে সব ধরনের রোগীদেরই চিকিৎসা করা হত। কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় চলতি বছর এপ্রিলে মাঝামাঝি থেকে ওই হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল হিসাবে তৈরি করা হয়। মে, জুন মাসের রোগীর চাপ ও যথেষ্ট ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। কিন্তু কার্যত লকডাউন এবং টিকাকরণে জোর দেওয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যের অন্য প্রান্তের মত হাওড়াতেও দ্রুত কমতে থাকে। এই মুহূর্তে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর দৈনিক আক্রান্ত গড়ে ২৫ এর নীচে। মৃত্যু নেই। এর ফলে টি এল জয়সওয়াল কোভিড হাসপাতাল হলেও রোগীর সংখ্যা হুহু করে কমে গিয়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা মাত্র তিন। যেখানে ডাক্তার ২৫, নার্স ৪৫।
এদিকে, কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় অন্যান্য চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ। এমনকী টিকাকরণের কাজও বন্ধ। এর ফলে বিপাকে অন্য রোগীরা। চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতাল , বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসাপাতাল, দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে। যাতায়াতের খরচও অনেক বেশি। তাই স্থানীয়রা চাইছেন অবিলম্বে সেখানে আগের মতোই সব চিকিৎসা শুরু হোক। এদিকে, হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ওই হাসপাতালকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ওখানে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর পাশাপাশি আইসিইউ ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে এই আশঙ্কার করে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ওই হাসপাতাল। কয়েক মাসের জন্য ওই হাসপাতালকে সাধারণ চিকিৎসার জন্য খোলা সম্ভব নয়।