Nadia: প্রবল বর্ষণে ফুঁসছে ভাগীরথী, জলমগ্ন নদিয়ার একাধিক গ্রাম
ভাগীরথীর জল বাড়তে থাকায় নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা একেবারে জলমগ্ন। দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টি। তাতেই উথালপাথাল ভাগীরথী। হু হু করে বাড়তে জলের থাকা প্রবল তোড়ে ভাসছে একাধিক গ্রামাঞ্চল। ভাগীরথীর জল বাড়তে থাকায় নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা একেবারে জলমগ্ন। দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে গয়েশপুর গ্রামে যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তার উপর দিয়ে হুড়মুড়িয়ে বয়ে চলেছে জল। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পায়ে হেঁটে যাতায়াতেও যেমন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই অসুবিধা হচ্ছে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতেও। ফলে বাধ্য হয়েই চলছে ঝুঁকির পারাপার। গতকাল দুপুর থেকে পাকা রাস্তার উপর দিয়েই চলছে নৌকা করে রাস্তা পারাপার। কোথাও কোমর পর্যন্ত জল তো কোথাও বুক সমান জল উঠেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাই এভাবেই পারাপার করছেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
একটানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইসলাপুর গ্রামে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তায় নেমেছে বড়সড় ধস। এর ফলে ওই রাস্তা দিয়ে কোনও যানবাহনই চলাচল করতে পারছে না। কালনাঘাট থেকে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় ধস নামায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।
এছাড়াও জলমগ্ন শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরি চলাচলের ঘাট ও বাসস্ট্যান্ড। সেখানে প্রায় হাঁটু সমান জল জমেছে। অন্যদিকে এই কয়েকদিনে ভাগীরথী নদীর পাড় ভাঙনে চিন্তায় শান্তিপুর ১৬ নং ওয়ার্ডের গবারচর এলাকার বাসিন্দারা। ভাগীরথীর জলে প্লাবিত হয় হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া গ্রাম, নতুন গ্ৰাম, হালদারপাড়া, হাউস সাইড কলোনী সহ বেশ কিছু এলাকা।
২০০০ সালে বন্যার পর খুব একটা বড় ধরণের বন্যা দেখেনি হরিপুর অঞ্চলের কয়েকটি গ্ৰামের মানুষ। ভাগীরথীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাষের জমি বিশেষ করে সবজি চাষের জমিতে জল ঢোকায় চাষিদের মাথায় হাত। ইয়াসের ক্ষতি সামলে উঠছিলেন সবে। ধার দেনা করে চাষ করে সবে মাত্র সামান্য সুখের মুখ দেখেছেন তাঁরা।