Indian Railways Isolation Coaches: ট্রেনের কামরায় তৈরি হল আইসোলেশন ওয়ার্ড, করোনা কালে বেডের ঘাটতি মেটাতে তৎপর রেল
এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বেডের ঘাটতি মেটাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ট্রেনের মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। এ রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হলেও বাস্তবে অনেকে করোনা রোগীই বেডের অভাবে মারা যাচ্ছেন। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বেডের ঘাটতি মেটাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ট্রেনের মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র হাওড়া ডিভিশনে ১০৩টি রেলের কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। এতে মোট ১৬৫০টি বেড আছে। এই মুহূর্তে হাওড়া ডিভিশনের বর্ধমান, আজিমগঞ্জ, হাওড়ায় ৩৮টি কোচ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বর্ধমানে ২০টি, আজিমগঞ্জে ৮ টি এবং হাওড়ায় ১০ টি কোচ মেরামতি করে রাখা হয়েছে।
হাওড়া রেল ইয়ার্ডে যে ১০ টি কোচ প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সেগুলিকে প্রতিদিন ক্লিনিং এবং স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হচ্ছে। প্রতি কোচের জানালার বাইরে ‘মসকিউটো নেট’ লাগানো হয়েছে। প্রত্যেক কোচের চারটি ল্যাভাটরির মধ্যে একটি বাথরুম এবং বাকি তিনটি ল্যাভাটরি হিসেবেই ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছে। প্রতি কোচে নির্দিষ্ট স্থানে ২টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কোচের ১৮ টি বেডের মধ্যে ১৬ টি রাখা হয়েছে রোগীদের জন্য আর ২ টি বেড নিয়ে চিকিৎসকদের জন্য একটি কেবিন করে রাখা হয়েছে কোচের মধ্যে। এছাড়া কোচের মধ্যে সমস্ত কিছুর আয়োজন রয়েছে। পূর্ব রেল থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই কোচগুলো রাজ্য সরকারকে দিতে প্রস্তুত। রেলের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী রাজ্য সরকার চাইলেই তারা কোচগুলি দিয়ে দেবে। এখন দেখার, গতবারের মতো এবারও রাজ্য সরকার রেলের এই অফার বাতিল করে কি না।
এদিকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে চম্পাহাটি স্টেশনে ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলেন এক যাত্রী। ট্রেনের সংখ্যা কমানোয় ভিড় বাড়ার কারণেই দুর্ঘটনা। এই অভিযোগে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রেল অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। এদিন চম্পাহাটি স্টেশন ছাড়ার পর আপ ক্যানিং লোকাল থেকে পড়ে যান এক যাত্রী। তারপরই উত্তেজনা ছড়ায়। সম্প্রতি শিয়ালদা ডিভিশনে চালক ও গার্ড মিলিয়ে শতাধিক রেল কর্মী করোনা আক্রান্ত হন। তারপর থেকেই কমানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা।