দিঘার সমুদ্রে সলিল সমাধি বেহালার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কৃতী ছাত্রের
জলপাইগুড়ি: বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন বেহালার যুবক। উদ্ধার হয়েছে দেহ। রাজ্যের সৈকত নগরী দিঘায় সমুদ্রস্নানে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া সুজয় দে’র। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই দিঘার সমুদ্রে, ফের সলিল সমাধি আর এক ছাত্রের। মৃত্যু বেহালার বাসিন্দা, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সঞ্জিৎ সরকারের। দিঘা পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ৮ বন্ধু মিলে দিঘায় ঘুরতে যান সঞ্জিৎ সরকার। দুপুরে নিউ দিঘার খনিকা ঘাটে তাঁরা স্নান করতে নামেন। ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে দাবি, আচমকা বড় ঢেউ এসে সঞ্জিৎদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বাকিরা কোনওমতে সৈকতে উঠে এলেও, ফিরতে পারেননি সঞ্জিৎ। দিঘা পুলিশ জানিয়েছে, নুলিয়া ও দিঘার মোহনা থানার পুলিশ কর্মীরা উদ্ধারকাজে নামলেও দিনভর তল্লাশির পর খোঁজ মেলেনি সঞ্জিতের। রবিবার সকাল ১০টার কিছু পরে দিঘার মোহনা এলাকায় সঞ্জিতের দেহ ভেসে ওঠে। তাঁর বন্ধুরা থানায় গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন। পুলিশের একাংশের মতে, শনিবার দিনভর দিঘার আবহাওয়া ছিল প্রতিকূল। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে জলে ঘূর্ণি ছিল ব্যাপক। ছাত্রের ডুবে যাওয়ার নেপথ্যে খারাপ আবহাওয়াও কারণ হতে পারেন বলে অনুমান পুলিশের। উত্তর চব্বিশ পরগনার আগরপাড়ার এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন সঞ্জিত। তাঁর মৃত্যুসংবাদ বেহালার সরশুনার বাড়িতে পৌঁছলে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। গত ১৪ এপ্রিল বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় সমুদ্রস্নানে গিয়ে মৃত্যু হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া সুজয় দে’র। এক সপ্তাহের মধ্যে দিঘাতে আরও এক ছাত্রের মৃত্যু!