মালদায় ফুঁসছে গঙ্গা! জমি, রাস্তাঘাট, বাড়ি নিমেষে তলিয়ে যাচ্ছে নদীভাঙনে; আতঙ্কে বাসিন্দারা
জমি-জমা, রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘর নিমেষে চলে যাচ্ছে গঙ্গার গ্রাসে। তবু মিটছে না সর্বগ্রাসী নদীর খিদে!
করুণাময় সিংহ, মালদা: ফুঁসছে গঙ্গা, ভাঙছে পাড়। মালদার বীরনগরে নদীভাঙনে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙন রোধে কাজ শুরু হলেও, তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের। এ নিয়ে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা। সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
ভয়াবহ এই ছবি দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু এটাই ঘোরতর বাস্তব মালদার বীরনগরে। জমি-জমা, রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘর নিমেষে চলে যাচ্ছে গঙ্গার গ্রাসে। তবু মিটছে না সর্বগ্রাসী নদীর খিদে!
কালিয়াচকের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, একের পর এক বাড়ি, জমি-জমা সব চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বীরনগরে, বর্ষা এলেই শুরু হয় গঙ্গার ভাঙন। এ বছরেও ব্যতিক্রম হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাববি, গত ১০ দিনে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৭০টির বেশি বাড়ি, ১৫০ বিঘা কৃষিজমি। শুক্রবার থেকে ভাঙন রোধে বালির বস্তা ফেলা শুরু করেছে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের দাবি, শুধু বালির বস্তায় ভাঙন আটকানো যাবে না। সঠিক পরিকল্পনা করে উদ্যোগ নিতে হবে প্রশাসনকে।
বাসিন্দারা আরও জানাচ্ছেন, প্রশানের সাহায্য মিলছে না। ফরাক্কা ব্যারেজ যেভাবে কাজ করজে তা দিয়ে ভাঙন আটকানো সম্ভব নয়। বালির বস্তায় কাজ হবে না)>>
এদিন নদীপথে এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। জানান, ভাঙন দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেছি। সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা হচ্ছে। ভাঙন রোধে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে।
জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিলেও ভাঙন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
মালদার তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার জানিয়েছেন, ভাঙনরোধে কাজ করছে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। আর এর পেছনে রয়েছে বিজেপি। ভাঙ্গনরোধে যে বালির বস্তা ফেলে কাজ করা হচ্ছে তবে কখনই ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব না। কাজ হচ্ছে নিম্নমানের।
মালদা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথার্থ ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের উচিত রাজনীতি বন্ধ করে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বন্ধ হোক রাজনীতির চাপানউতোর। সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে, বাস্তবায়িত হোক প্রশাসনের আশ্বাস।