গেরুয়া পোশাক সবাইকে মানায় না, নাম না করে বিজেপি-আরএসএসকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
বীরভূম: ট্যাবলো-বিতর্কে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভেদাভেদের রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, একসঙ্গে সব শিল্পীকে আনায় সহ্য করতে পারেনি বলে আক্রমণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, বীরভূমের কেন্দুলিতে জয়দেব মেলার উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। জানান, বাংলা সর্বদা বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করে। সবাইকে নিয়ে চলাটাই ধর্ম।
এপ্রসঙ্গেই, কেন্দ্রের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এবছর, প্রজাতন্ত্র দিবসে আমাদের থিম ছিল একতা। একসঙ্গে সব শিল্পীকে এনেছিলাম। এটা ওরা গ্রহণ করতে পারল না। তাই এবারে দিল্লি আমাদের ট্যাবলোটা করতে দিল না।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১০০০ বাউল শিল্পী। বিভিন্ন জেলার ১০ জন করে বাউল শিল্পীকে সরকারের বিশেষ সম্মান জানানো হয়। সর্বধর্ম সমন্বয়ের সওয়াল করে মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে খোঁচা দেন বিজেপি-আরএসএসকে। বলেন, গেরুয়া পোশাক সবাইকে মানায় না। যারা অপব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে বলব। তিনি যোগ করেন, বাউল সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলে। মনুষত্বের কথা বলে। জাতের নামে বজ্জাতি করে না।
মমতা জানান, ১ লক্ষ ৯৪ হাজার শিল্পীর পাশে রয়েছে সরকার। লোক প্রচার প্রকল্পে ভাতা পান। তাঁরা সরকারের বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন। তিনি মনে করেন, সমস্ত মেলাগুলোতে লোকশিল্পীদের থাকা বাধ্যতামূলক। এতে তাঁরা সবাই সুযোগ পাবেন। সাধারণ মানুষকে নিয়ে শিল্পীদের জোট বাঁধার আহ্বানও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পীরা আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার। শিল্পীদের একটাই জাত, সেটা মানবিকতার। সংস্কৃতি যেখানে নেই, মানবিকতা সেখানে নেই। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের পরম্পরা।
এরপরই বাউল শিল্পীদের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উপহার দেওয়া হয় একতারা। সেই একতারা নিয়েই শিল্পীদের সঙ্গে সুর তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।