ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভাঙচুর, আতঙ্কে তিনতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ শিক্ষকের
অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের দাবি, কিছু বোঝার আগেই পাড়ার কিছু লোক এসে তাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। অভিযুক্ত শিক্ষক রমেন তালুকদার স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষকের চাকরি করেন। কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জখম শিক্ষককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষকের বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করল উত্তেজিত জনতা। আতঙ্কে তিনতলার ছাদ থেকে লাফ দেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মণ্ডলহাট এলাকায়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই পার্শ্বশিক্ষক ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যান। খবর জানাজানি হওয়ার পর, এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও ছাত্রীর পরিবারের তরফে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে শিক্ষক এই সন্দেহে শিক্ষকের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকাবাসী। জনরোষ থেকে প্রাণে বাঁচতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক রমেন তালুকদার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিক্ষককে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের রোষে পড়ে শিক্ষকের বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাটোয়া থানার মণ্ডলহাট এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যে ছাত্রীকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা তার পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সেই ছাত্রীর মায়ের দাবি, ‘‘আমার মেয়েকে নিয়ে মাস্টারমশাই ঘুরতে গিয়েছিলেন ৷এই ঘটনায় পাড়ার লোকেরা জানতে পেরে শিক্ষকের বাড়ি চড়াও হয়েছে।’’
অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের দাবি, কিছু বোঝার আগেই পাড়ার কিছু লোক এসে তাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। অভিযুক্ত শিক্ষক রমেন তালুকদার স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষকের চাকরি করেন। কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জখম শিক্ষককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।