মুর্শিদাবাদ বাস দুর্ঘটনা: ৪৮ ঘণ্টা পরও চলছে তল্লাশি, সকালে উদ্ধার আরও একটি দেহ, মৃত বেড়ে ৪৩
মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩। বুধবার সকালে খাল থেকে উদ্ধার হয় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির বাসিন্দা হৃষিকেশ শর্মার মৃতদেহ। নিখোঁজ ডোমকলের মেহেদিপাড়ার হাজি আবদুল মালেক। রাজ্য পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের এক ডুবুরির দাবি, জলস্রোত তেমন নেই। খুব বেশি দূরে যাবে না। কিন্তু, নীচে জল খুবই ঠাণ্ডা, ঘোলাটে। তাই সমস্যা হচ্ছে। ডুবুরিদের অনুমান, খালের গভীরে কাদার মধ্যে আরও মৃতদেহ আটকে থাকতে পারে। পাশাপাশি জলের নীচে তাপমাত্রা কম থাকায় মৃতদেহে পচনের সম্ভাবনা কম রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে এখনই মৃতদেহ ভেসে উঠবে না বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। এদিনও খালে তল্লাশির সময় সমস্যার সম্মুখীন হন উদ্ধারকারীরা। বুধবার সন্ধের মুখে বন্ধ হয় উদ্ধারকাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। এদিকে, যে সেতুর রেলিং ভেঙে সোমবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, সেই নলিনী বাস্কে সেতুতে কোনও বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং বা ক্র্যাশ ব্যারিয়ার ছিল না। দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত, রাজ্যের যে সব সেতুতে ওই ধরনের রেলিং নেই সেখানে ৩১ মার্চের মধ্যে তা তৈরি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাড়ি চালানোর সময় চালকরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে লাইসেন্স বাতিলের মতো কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। দুর্ঘটনার পরেই দৌলতাবাদে পুলিশ ও দমকলের উপর হামলা হয়। তা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হামলার নেপথ্যে বিরোধীদের হাত রয়েছে। এর জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। পাল্টা সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস।