NHRC Update: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখন বিজেপি-র কমিশন, অভিযোগ তৃণমূলের
TMC attacked BJP and National Human Right's Commission highlighting the incident of Tripura. | যদি নিরপেক্ষ সংস্থা হয়, তাহলে ত্রিপুরায় আসুক জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বললেন কুণাল ঘোষ।
কলকাতা: ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলা হয়েছে, জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। জোর করে মারধর করে তৃণমূলকে দমন করা যাবে না। বাংলায় সিপিএম-কংগ্রসকে শূন্য করে দিয়েছে তৃণমূল। দিল্লি থেকে আসা নেতাদের ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলা। ত্রিপুরায় জিতবে তৃণমূল, তৃণমূলের নেতৃত্বে বিকল্প সরকার গড়বে।’
কুণাল আরও বলেন, ‘বাংলায় জে পি নাড্ডা থাকাকালীন বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে পড়েন। নাড্ডার গাড়ির ওপর হামলার ঘটনায় তিনজন আইপিএস-কে অ্যাটাচ করা হয়েছিল। অভিষেকের (বন্দ্যোপাধ্যায়) গাড়িতে হামলা নিয়ে কতজন আইপিএসকে তলব করা হয়েছে? এই ঘটনার নিন্দা করছি। কোথায় গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। এসে দেখুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক দলদাসবৃত্তি ছাড়ুন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখন বিজেপি-র কমিশন। অভিষেকের গাড়িতে হামলা, বিজেপি সংগঠিতভাবে জমায়েত করেছিল। পুলিশকে দিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের। পুলিশের কাছে কোনও উত্তর নেই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আসুক ত্রিপুরায়। আইনজীবীরা আদালতে ঢুকতে পারছেন না, আইনজীবীদের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই, জঙ্গলরাজ চলছে। বিজেপির গুন্ডারা হামলা করেছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। যে গণতন্ত্রে আইনজীবী আদালতে আসতে পারে না, সেই রাজ্য গণতান্ত্রিক হতে পারে না। যদি নিরপেক্ষ সংস্থা হয়, তাহলে ত্রিপুরায় আসুক জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আমবাসায় বিজেপি হামলা করল, একজন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত, একজন পুলিশকর্মীর চোখে গুরুতর আহত, কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশকর্মীদের অনুরোধ জানাব নিরপেক্ষ থাকতে।’
কুণাল এরপর বলেন, ‘সিপিএম-কংগ্রেসকে অনুরোধ করব ভোট কেটে ভোট নষ্ট করবেন না। ত্রিপুরার মানুষ সিপিএম, বিজেপিকে দেখেছে। ভিক্ষা নয়, চাইছি ঋণ, ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলকে আশীর্বাদ দিন। ত্রিপুরায় পায়ের তলায় মাটি সরেছে বিজেপি-র, সেই জন্য হামলা। ত্রিপুরায় ১০,৩২৩ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল এই সমস্যা সমাধান করা হবে। এই সমস্যা মানবিকভাবে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছেন, আত্মহত্যা করেছেন ত্রিপুরায়।’