Bengal Post Poll Violence: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী
এই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতারা। এই রিপোর্টকে একতরফা বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা
কলকাতা: রাজ্য ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টে পেশ করা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। 'কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উদয়ন গুহ, শেখ সুফিয়ান থেকে পার্থ ভৌমিক, শওকত মোল্লা, জীবন সাহা, খোকন দাস মতো রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। এই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-একতরফা বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূল নেতারা বলেছেন, ভোটে হার মেনে নিতে না পেরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে এভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বিজেপি। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, এই রিপোর্ট খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ সাজানো রিপোর্ট। দল এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গতকাল হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। হাইকোর্টে ৫০ পাতার রিপোর্টে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে দ্রুত বিচারের জন্য ভিন রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।।
কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় আইনের শাসনের বদলে চলছে শাসকের আইন। পরিস্থিতির বদল না হলে বাজবে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা। ছড়িয়ে পড়বে অন্য রাজ্যেও। হাইকোর্টে রিপোর্টে এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন। কোর্টের পর্যবেক্ষণে সিট গঠনের প্রস্তাবও জাতীয় মানবাধিকারি কমিশনে দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২ মাসে রবীন্দ্রনাথের মাটিতে খুন, ধর্ষণ, ভিটেছাড়া হয়েছে মানুষ। অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উদ্ধৃত করে রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে রাজ্যকে আক্রমণ করেছে কমিশন। সাক্ষীদের সুরক্ষা নিয়েও রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন,বাংলাকে বদনাম করতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন নেই। সেখানে কটা কমিশন পাঠিয়েছে কেন্দ্র?