![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Black Fungus: উত্তরবঙ্গ হাসপাতাল থেকে পালালেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত মহিলা
বুধবারই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে মাইক্রো বায়োলজি ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
![Black Fungus: উত্তরবঙ্গ হাসপাতাল থেকে পালালেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত মহিলা North Bengal Medical college and hospital mucormycosis patient escapes from hospital Black Fungus: উত্তরবঙ্গ হাসপাতাল থেকে পালালেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত মহিলা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/06/18/98c729a5d3c894f1a31e75fbf6138db9_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
শিলিগুড়ি: ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এক মহিলা পালিয়ে গেলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ওই মহিলার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তিনি বুধবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। বুধবারই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে মাইক্রো বায়োলজি ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর রাতেই ওই মহিলা হাসপাতালের যেই ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন সেখানে থেকে পালিয়ে যান। ওই মহিলার খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভয়ঙ্কর করোনা আবহে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসের প্রকোপ।এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক হাজার মানুষ। পশ্চিমবঙ্গেও দেখা গিয়েছে এই সংক্রমণ। কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলি কী কী? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে,চোখ ও নাকে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর,কাশি,মাথা ব্যথা,শ্বাসকষ্ট,রক্তবমি,মানসিক অস্থিরতা।
স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল,সাইনাস,নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া,নাক দিয়ে কালচে জল অথবা রক্ত বেরনো,থুতনিতে অথবা মুখের যেকোনও একপাশে ব্যথা,দাঁতে ব্যথা,দাঁত পড়ে যাওয়া ,চোয়ালে ও চোখে ব্যথা ,এক জিনিস দুটো দেখা।
স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন আরও বলছে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস,দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহার, বেশিদিন আইসিইউ-তে থাকলে কোমর্বিডিটি বা অন্যান্য অসুস্থ থাকলেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
বর্তমানে করোনা আবহে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। কেউ বাড়িতে কিংবা হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন।কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল, হিউমিডিফায়ার ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেনের সিলিন্ডারে লাগানো ফ্লোমিটারে থাকা ডিস্টিল ওয়াটার থেকেও রোগীর শরীরে ঢুকে পড়তে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তাই সেদিকে অত্যন্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সব মিলিয়ে করোনা আবহে আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই ছত্রাকের কবল থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।
এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা খুবই জরুরী।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)