North Dinajpur: মোবাইল চোর সন্দেহে ধৃত যুবককে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে 'আক্রান্ত' পুলিশ
অভিযুক্ত যুবককে তাঁদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে পুলিশের গাড়িতে চলে ভাঙচুর। ঘটনায় ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: মোবাইল চোর সন্দেহে ধৃত যুবককে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে রায়গঞ্জের ভাটোলে আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক। অভিযুক্ত যুবককে তাঁদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে পুলিশের গাড়িতে চলে ভাঙচুর। ঘটনায় ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চোর সন্দেহে ধরে এক যুবককে মারধর করা হচ্ছে। আক্রান্তকে উদ্ধার করতে গিয়ে ক্ষিপ্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হল পুলিশই। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। পুড়িয়ে দেওয়া হল অভিযুক্তর বাইক। মাথা ফাটল পুলিশ আধিকারিকের। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের ভাটোল গ্রামের আমতলা মোড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুস্তাকিন নামে এক যুবককে মোবাইল চোর সন্দেহে আটক করে মারধর শুরু করে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভাটোল ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, যুবককে উদ্ধার করার পর অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে পুলিশকর্মীদের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। রায়গঞ্জ থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রেফতার করা হয় ন’জনকে।
রায়গঞ্জের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ ইউসুফ আলি বলেন, চোর সন্দেহে গ্রামের কিছু মানুষ যুবকের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ এলে, উত্তেজনা তৈরি হয়। গ্রামের লোকই উদ্ধার করে পুলিশ হাসাপাতালে পাঠায়। রায়গঞ্জের আক্রান্ত এএসআই চঞ্চলকুমার সিংহের কথায়, আমরা গিয়েছিলাম। অভিযুক্তকে ওদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে আমাকেও মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুর করে। আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক ও অভিযুক্ত যুবককে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হলে, ২ জনকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত ও ৭ জনকে ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
তবে পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। গত ১০ জুলাই শ্যামাপ্রসাদ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীসংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভবানীপুর থানা চত্বর। থানার সামনে ইটবৃষ্টি হয়। ইটের আঘাতে গুরুতর জখম ভবানীপুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি রাজীব সাহু। মাথা ফেটে যায় তাঁর। এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় ওই পুলিশ অফিসার। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি ছিল টিএমসিপি-র। সেই কর্মসূচির পর রাত ৮টা নাগাদ দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক গোষ্ঠী অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে সেখানে হাজির হয় অপর গোষ্ঠীও। শুরু হয় মারামারি। সংঘর্ষ থামাতে যান অ্যাডিশনাল ওসি। তখনই ইটের আঘাতে মাথা ফাটে তাঁর।