জলে ভাসছে কার্শিয়ং মহকুমা হাসপাতাল, নাজেহাল স্বাস্থ্যকর্মী থেকে রোগী
কোথাও অ্যাসবেসটসের ছাউনি ফেটে জল পড়ছে ঝরঝরিয়ে। কোথাও আবার বৃষ্টির জল পড়ছে ছাদের ফাটল চুঁইয়ে।
কার্শিয়ং: বর্ষার শুরুতেই কার্শিয়ং মহকুমা হাসপাতালে শুরু জল যন্ত্রণা। ফাটা ছাদ আর ফাটা ছাউনি দিয়ে পড়ছে বৃষ্টির জল। হাসপাতালের ভেতর জলে থই থই। সমস্যায় পড়েছেন রোগী থেকে কর্মীরা। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সুপার।
কোথাও অ্যাসবেসটসের ছাউনি ফেটে জল পড়ছে ঝরঝরিয়ে। কোথাও আবার বৃষ্টির জল পড়ছে ছাদের ফাটল চুঁইয়ে। এ ছবি কার্শিয়ং মহকুমা হাসপাতালের। বর্ষা আসতেই জল যন্ত্রণায় নাজেহাল কার্শিয়ং মহকুমা হাসপাতালের কর্মী থেকে রোগীরা।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের যে কাউন্টার থেকে ডাক্তার দেখানো ও ওষুধের জন্য স্লিপ দেওয়া হয়, সেখানে অনেকটা ফেটে গিয়েছে ছাউনি। ফাটা অংশ দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ছে ভেতরে। জমেও যাচ্ছে জল।
রাজীব তামাঙ্গ নামে এক রোগী জানাচ্ছেন ওষুধের স্লিপ নিতে যে জায়গায় দাঁড়াতে হয় সেখানেই জল পড়ছে। দাঁড়ানোর জায়গাই নেই। খুব অসুবিধে হচ্ছে।
কার্শিয়ং মহকুমা হাসপাতালের কর্মী সুধা রাই এর কথায়, 'ছাদ ভাঙা। জল পড়ছে বলে রোগীদের যেমন অসুবিধে হচ্ছে, আমাদেরও হচ্ছে। বাঁদরের উৎপাতের জন্য এখানে ছাদ ভেঙে যাচ্ছে।'
হাসপাতালের সুপার রুমি মণ্ডল জানিয়েছেন, বছরভর হাসপাতালে ছোটখাটো সংস্কারের কাজ হয়। জিটিএ-কে জানানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ররা দেখেও গিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা মিটে যাবে।' তবে সুপারের আশ্বাস মিললেও, বর্ষাটা কী ভাবে কাটবে? সে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে হাসপাতালের কর্মী থেকে রোগীদের।
উল্লেখ্য, মৌসুমী অক্ষরেখা ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার জোড়া প্রভাবে কাল ও শনিবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা, তার জেরেই আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, কোথাও হালকা, কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে।
কাজেই উত্তরবঙ্গেও এই মুহূর্তে রেহাই নেই।উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কাল ও শনিবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।