শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় স্টেশনে বাড়তি নিরাপত্তা, স্টাফ স্পেশাল ট্রেন
আজ মল্লিকপুর, সোনারপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ, চম্পাহাটির মতো একাধিক স্টেশনে বাড়তি আরপিএফ ও জিআরপি কর্মীদের মোতায়েন করা হয়
কলকাতা: শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় গতকালের বিক্ষোভ, তাণ্ডবের পর বাড়ানো হল স্টেশনের নিরাপত্তা। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিকে ঘিরে গতকাল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মল্লিকপুর স্টেশন। যার জের গড়ায় সোনারপুর সহ একাধিক স্টেশনে। এর প্রেক্ষিতে আজ মল্লিকপুর, সোনারপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ, চম্পাহাটির মতো একাধিক স্টেশনে বাড়তি আরপিএফ ও জিআরপি কর্মীদের মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি, শিয়ালদার উত্তর ও দক্ষিণ ডিভিশনে ৪৩টি বাড়তি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।
চালু করতে হবে লোকাল ট্রেন। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন স্টেশন। করোনা আবহে, ভাইরাসের মতো এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আঁচ।ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি।ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হয় খাকি উর্দি।
করোনা আবহে রাজ্যে ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যত লকডাউন। বন্ধ লোকাল ট্রেন।তবে রেলকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চলছে স্টাফ স্পেশাল। লোকাল চালুর দাবিতে গতকালও সোনারপুরে রেল অবরোধ হয়। আপ ক্যানিং স্টাফ স্পেশাল আটকে চলে বিক্ষোভ।তবে রেলপুলিশের আশ্বাসে এক ঘণ্টা পর উঠে যায় অবরোধ। এরপরই মল্লিকপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ, বেতবেড়িয়া স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়, শিয়ালদা-বারুইপুর শাখার মল্লিকপুর স্টেশনে। ডাউন ও আপ, দুই লাইনে শুরু হয় অবরোধ। জিআরপি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই মারমুখি হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে দেখা মাত্রই তাদের ধাক্কা মারেন কয়েক জন। ভেঙচুর করা হয় সোনারপুর জিআরপি-র গাড়ি। পিছু হঠে পুলিশ। পরে আরও বাহিনী নিয়ে অবরোধকারীদের ওঠাতে গেলে, পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি।পালাতে গিয়ে পড়ে যান সোনারপুর আরপিএফের ওসি। পাথরের ঘায়ে মাথা ফেটে যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিরাপত্তারক্ষীর। মল্লিকপুর স্টেশনে যখন এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি, তখন রেল অবরোধ শুরু হয়ে যায় শিয়ালদা-ক্যানিং লাইনের বেতবেড়িয়া ও ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনেও।
ঘণ্টা দুয়েক অবরোধ চলে বেতবেড়িয়ায়। লাইনের উপরে স্লিপার রেখে দেওয়া হয় ঘুটিয়ারি শরিফে।
দীর্ঘক্ষণ পরে অবরোধ উঠলেও ছাড়তে পারেনি আটকে পড়া ট্রেন। কারণ, পিয়ালি স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেওয়া হয়।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর শিয়ালদা-ক্যানিং আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকহলেও বিক্ষোভ চলতে থাকে শিয়ালদা-বারুইপুর শাখার মল্লিকপুর স্টেশনে। অবশেষে বেলা ১২টা নাগাদ, রেলের তরফে আশ্বাস মেলার পর অবরোধ ওঠে। এরইমধ্যে লোকাল ট্রেন চালুর ইচ্ছাপ্রকাশ করে ফের রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে পূর্ব রেল।