Kunal Ghosh: 'আপনার স্বামী যখন বলেছিলেন ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব...!' তাপস-পত্নীকে পাল্টা আক্রমণ কুণালের
Kunal Ghosh to Nandini Paul on RG Kar Case: আর জি কর-কাণ্ডে দিনকয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা।

কলকাতা : অভয়ার পরিবারকে আক্রমণ ঘিরে তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পালের সমালোচনার পাল্টা আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। টেনে আনলেন তাপস পালের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ। সেই প্রসঙ্গ তুলে নন্দিনীর উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, "কোনওটায় বেশি লেগেছিল (লজ্জা) ? আমারটায়, না আপনার স্বামী যখন বলেছিলেন ছেলে ঘরে ঢুকিয়ে দেব ? কোনটায় বেশি লজ্জা লেগেছিল। সেটা একটু ব্যাখ্যা করে বলে দিলেই মিটে যায়।"
অভয়ার মা-বাবাকে আক্রমণ-ইস্যুতে কুণাল ঘোষকে ফের নিশানা করেছেন নন্দিনী পাল। "মান আর হুঁশ থাকলে তবেই তো মানুষ। হুঁশটা কামনা করি। হুঁশটা আসুক। ওঁর একটা অনুতাপ তাপসবাবুর মতো আসুক", এমনই ভাষায় সমালোচনা করেছেন তাপস-পত্নী।
তিনি বলেছেন, "কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত কিছু নেই। কিন্তু, ওঁর তো কোনও অনুতাপ দেখছি না। উনি তো রোজ কিছু না কিছু বলেই যাচ্ছেন। সেটাতে কোনও অনুতাপ নেই। খুব গর্বের সঙ্গে বলছেন উনি। সেটাতে আমি আরও লজ্জা পাচ্ছি। আর একটা কথা খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই। তাপস পালের যে উক্তি তার কোনও ক্ষমা নেই। উনি বলেছেন, তার ভোগান্তি উনি ভুগেছেন। উনি মারা গেছেন। উনি অনুতাপ নিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু আমি যেটা বলছি, আমি যে প্রতিবাদ করছি, একটি মাতৃসত্ত্বা থেকে বলছি। কুণালবাবু যে কথাগুলো অভয়ার মা-বাবাকে বলছেন, যে মেয়েটি ওরকম নৃশংসভাবে মারা গেছেন, সেটা একজন মা হিসাবে, কুণালবাবুর উক্তিগুলো আমার খুব অসংবেদনশীল এবং রুঢ় লেগেছে। আমার এই প্রতিবাদ, যেটা আমার মনে হবে খারাপ লাগছে, সেটা আমি আগেও বলেছি, আজও বলব, কালও বলব। আর একটা কথা, একবার কোথাও দেখলাম উনি খুব গান গাইছেন... কুণালবাবু ...নেচে নেচে গান গাইছেন। ওটা আমার জন্য খুব বিনোদনের। মান আর হুঁশ থাকলে তবেই তো মানুষ। হুঁশটা কামনা করি। হুঁশটা আসুক। ওঁর একটা অনুতাপ তাপসবাবুর মতো আসুক।"
তাঁর সেই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কুণাল বলেন, "সবার অধিকার আছে মন্তব্য করার। সকলের কথার উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। শুনবেন না। কোনওটায় বেশি লেগেছিল (লজ্জা) ? আমারটায়, না আপনার স্বামী যখন বলেছিলেন ছেলে ঘরে ঢুকিয়ে দেব ? কোনটায় বেশি লজ্জা লেগেছিল। সেটা একটু ব্যাখ্যা করে বলে দিলেই মিটে যায়। তবে আমি আবার বলছি, সবার হাতে ফোন আছে। ফেসবুক গণতান্ত্রিক অধিকার। সারা পৃথিবীর লোক ফোন কিনতে পারে। ফেসবুক করতে পারে। গণতান্ত্রিক মত জানাতে পারে। প্রত্যেকের কথার উত্তর দেওয়ার আমি প্রয়োজন বলে মনে করি না। "
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
